। হে ধার্মিক।


তোমার চোখে তো ছানিটানি নেই, মনে হয় দেখো ঠিক,
তবু কেন আলো এত কম ঢোকে, আঁধার চতুর্দিক?
কর্ণকুহর বন্ধ করেছো, অন্ধ করেছো চোখ,
কোন ঈশ্বরে উপাসনা করো, জানাও নিরর্থক।
সহনশীলতা আসে না ধর্মে, শুধু ছিটকায় ঘৃণা,
কখনো ভেবেছো তোমার গ্রন্থে সেটা লেখা আছে কিনা?
আঁকড়ে রেখেছো নিয়মকে কিছু তোমার ধর্ম বলে,
মারতে ছুটছো একচুল তার এদিক ওদিক হলে।
এ ব্যাপারে মিল আছে পুরোপুরি ত্রিশুলী ও
জেহাদির,
রাস্তায় বাড়ে রোজ রোজ আরও শবদেহদের ভিড়।
কারা এই শব? কাদের রক্তে ধর্মপতাকা ভেজে?
কারো বাবা ছিলো, কারোর আব্বা, মা বা আম্মি সে যে।
দুনিয়াটা চাও একরঙা হোক, সবুজ বা গৈরিক,
যে ঈশ্বরের নাম নিয়ে মারো, দুনিয়া তো তাঁর তৈরী।
এটা যদি মানো তাঁর ইচ্ছেতে পৃথিবী সৃষ্টি ধ্বংস,
এটা যদি মানো সব ধার্মিক সেই ইচ্ছার অংশ,
তবে কেন এটা মানতে পারো না ইচ্ছে থাকলে তাঁর,
গেরুয়া সবুজ রামধনু রঙে মিশে হতো একাকার?
আজ অবধি কটা উপাসনাস্থল ভেঙেছেন ঈশ্বর?
কোন জয়মালা দিয়েছেন তিনি দাঙ্গা করার পর?
ফেজটুপি আর তিলক বা ক্রুশ, সবার রুধির লাল,
যে ধর্ম সেই সত্য দেখে না সে ধর্ম জঞ্জাল।
তুমি হতে পারো নিরামিশাষী, আমি গোমাংসখেকো,
ছেচল্লিশ জিন আমাদের একই, সে তথ্য মনে রেখো।
আরেকটি ধাঁধা বলো না আমায় একটু খোলসা করে,
ভিনধর্মীকে বিয়ে সাদি করে কখনো নেবে না ঘরে,
সেটা বুঝলাম। কষ্ট হলেও সেটাকে মানতে পারি
হাজার হোক, তোমার জীবন, তোমারই তো ঘরবাড়ি।
সুযোগ পেলেই ঝাঁপ দেয়  যারা ভিননারী ধর্ষণে
কোন ধর্মের কাহিনী তবে সেই চোরা বলো শোনে?
ধর্মদেওয়ালে ভাগ করো লোক, বাঁধ দাও সবখানে,
পুরুষাঙ্গের ধর্ম হয়না, ধর্ষিতা নারী জানে।
এসব ব্যাপারে ত্রিশূলী জিহাদি সব্বাই সাজে অন্ধ
উপাসনা নয়, ধর্মে এখন হিংসার পোড়া গন্ধ।


আর্যতীর্থ