। দিল্লী।


এখানে জীবিত নেই কেউ আর।
আছে শুধু জ্যান্ত লাশ। চলে,  ফেরে,  কথা বলে,
প্রজননও সঠিক সময়ে।
দেখে মনে হতে পারে বটে, বেঁচে আছে বুঝি,
নেই, নেই, বুকে হাত দিয়ে দেখো, স্পন্দন পাবেনা কোনো তাতে।
এরা সব আগে থেকে প্রোগ্রাম করা। বাড়ি থেকে পথ হয়ে কাজের জায়গা,
পুনঃ ঘরে ফিরে যাওয়া। আশেপাশে ঘটমান বর্তমানে কোনো হেলদোল নেই।
হোক না সে খুন প্রতিবেশী, কিংবা নারীর বিবস্ত্রীকরণ রাস্তার মোড়ে,
লাশ হেঁটে যাবে শুধু,  পাশ কাটিয়ে, নির্বিকার, যেন ইহা ঘটে প্রতিদিন।
অবশ্য মাঝে মাঝে সেল্ফি তুলিবে, তাৎক্ষণিক আপলোড ইমোজি সমেত।
পিছনে তখন ঘটে গণধর্ষণ, নির্বস্ত্র নারী অক্ষম অনুরোধে লজ্জা ভিক্ষা চায়।
কার কাছে লজ্জা মা? এরা সব লাশ, মৃতের হয় না কোনো সামাজিকবোধ,
মৃতদেহ সর্বদা একা।  এ শহর জীবন্ত মৃতদেহে ভরে গেছে, মানুষের লাশ চলে,  মানুষের বেশে।
হে নারী, এদেরকে লজ্জা কোরো না, দিল্লী নগরী নয়, মানবশ্মশান,
কোথায় তৈমুর তুমি, নাদির কোথায়, বিনষ্ট করবে এই প্রেতের নগরী?
তোমার লজ্জা ঢাকতে পারিনি মা আমার,  পারো যদি, ক্ষমা করে দিও।


আর্যতীর্থ