পৃথিবী ছেড়ে এ কথায় এলাম আমি,সব ফাঁকা,
না ফাঁকা নয়!ঐ যে দূরে কয়েকটা বল ঘুরছে।
নানা রঙের,চারিদিকে মোমবাতির ন্যায় আলো,
কিন্তু,খুব গভীর আন্ধকার,যা ভাবাই যায় না।
নিঃসাড় নিঃসঙ্গ অবাধ শান্তির,কল্পনার কুন্তল,
যেখানে আমি একা,আর কোনো প্রাণরস নাই।
কোথায় গেলো রুপোলী চাঁদ বা রক্তিম সূর্য?
ঐ যে দূরে,বহূ দূরে,যেন হাজার সূর্যের সমাগম,
এরা পৃথিবীর সূর্যের থেকে,খুব বড়ো মনে হয়।
এদের কি কোনো নাম আছে?যা পুঁথিগত নয়,
এখানে কোন বাঁধা নাই,যেদিকে চাই চলে যাই।
সব কিছু যেন,হালকা বেলুনের মতো ঘুমিয়ে,
যেন সর্ব শক্তিমানের,বাড়ি এখানে লুকানো ।
কিন্তু কোনো শব্দ হয় না,কেউই শব্দ চায় না,
মনে হয় সবাই লুকিয়ে,আমার দিকে দেখছে ।
আমার কথাও আমি,শুনতে পারছি না এখন,
আমি কি বধির হলাম? হয়তো এখানে হতে হয়।
উপর নিচে,ডাঁয়ে বাঁয়ে,বলতে কিছুই নাই,
শুধু আছে নিস্তদ্ধতা,আর অনন্ত গভীর শূন্য ।
এখান থেকে ফেরার বাস পাওয়া যায় কি!
কাউকে প্রশ্ন করার উপাই নাই, সবাই ঘুমিয়ে।
বরফের চেয়েও ঠান্ডা,তা আমার অনুভূতি নাই
একি আমিওতো এক,বরফের মূর্তি হয়ে গেছি।
আমারতো ঠান্ডা লাগছে না!বাতাসও বয়ে না,
পৃথিবীর মতো পাখি গান গায় না,কোথায় সব
যেন এক ভয়ঙ্কর কালো রাক্ষসের মুখের মধ্যে
আমি সাঁতরে বেড়াচ্ছি,চোখ বুজিয়ে,বা চেয়ে।
এখন আবার চারিদিকে,সোনালি হীরার স্তূপ,
আমাকে দেখে তারা দূরে,উড়ে উড়ে যাচ্ছে
ব্যাগ থাকলে ভরে বাড়ি নিয়ে যেতাম আমি।
অজানা, অদেখা এই রাজ্যের স্মৃতি হিসাবে,
কিন্তু তার উপায় নাই,আর ফেরা হবে না।
এবার আমার ধিরে ধিরে,চোখ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে
আমি নিজেকে শূন্যের পরিবারে সমর্পণ করি।
যেন এক গভীর ঘুম শহরের,ট্রেনের কান্ত যাত্রী
এবার বন্ধু বিদায়,জানাই সবাইকে শুভরাত্রী।