ক্যাম্পটির অদূরে নদী ছিল এক
আর আমাদের বাড়ীতে ছিল শূন্যতায় এবং হাতগুলো
যা জাগাবে মোদের একদিন আরো অধিক নিঃস্বতায়।
আমার সাত পেরুলো সবে
যখন সে বসে ছিল সেথা ছায়ার ভেতর
তাঁতে ছিল তার ইস্ত্রির তোড়জোড়
নীল শীতপোশাকটি কাঁধ থেকে ঝুলে ছিল তার।  
কসুর করিনি আমি অনবধানে তার, সে পথের
অথবা সে ধাপ ত্রয়ীযোগে
এবং করিনি দৃকপাত গালিচার দিকে।
করিনি স্মরণ আমি কে যে সেথা  বলেছিলো তা
আমায় না আর , অন্যজনে
"বড় হলে পরে সেসময় কবিতায় বাস হবে তোর। "
ধুলো যেথা খেয়ে যায় স্মৃতিচারণের নথি, সর্বদা সেথা দূরগামী ছিল তাঁরা  
তবুও আসন তাদের অনুভূত হয় , সে এক দূর থেকে যেন।
পাহাড়ের পশ্চাতে তার , আর আবাসেরও ঊর্ধ্বে থেকে তার
গরমকালের এক হাওয়ার ঝুলন ,আর অশ্বথ যথা
খাঁজকাটা  আসনের সব হৃদয়ের ধাম , শেষে
আর ঘাড়ের ওপরে
পাঁচটির সেথা গুচ্ছকদম।
কোন ফুল দল বাগ্মী সে
কোন ফুল দল নীরব দন্ড
আমি সেথা পারিনি আর স্মরণে তার
দরজায় দাঁড়িয়ে কি মাতুল আমার ?
ছিল কিনা আমাদের তাল আর পদ্মের বৃক্ষ সেথা
কারামেহে মোদের আবাসের ভেতর ?
মোর মা কি সেথা
যে জন্ম দিলো মোরে খাটিয়ার ওপরে এক
ভাঁজ করছিলো কাপড় আমাদের বাবাকে রেখে পিছে।
যাতে তিনি একটু ঘুমোন।  
প্রহরী কুকুরের দল উত্তাপে কেঁদে ফিরত সেথা
আর ছিল কবিতায় , জেরুসালেমের হোসেনী
আর রহস্যমন্ডিত খিদর ছিলেন সেথা আমাদের ঘরে
আমার মাতুলও তাই, আগমন জলাশয় থেকে তার
হেবরণের দেয়াল গুলোর অভ্যন্তর।
জীবন গিয়েছে চলে কুড়ি কুড়ি বছরের পার না বলে মোদের, সে কোনো ছবিও
মোদের আরো বুড়িয়ে গিয়েছে সময়  
আর তাই বোধহয়
আমার বাবার জ্বালাতনে ছিল তার বন্ধুরা
দিনে তার , আর রমনীরা
তার কণ্ঠস্বরে , স্বরের সুতোয় নিয়ে প্রলোভনকাল
যেমন তিনি ছড়িয়ে দিতেন আলাপ স্রোতস্বিনীতে , তাদের
চপল সে সংগীতে স্পর্শিত হাঁটাপথ কিছু সেথা, হেথা হোথা
তারপর খসে যেত দিনান্তে তার
নিতে দিয়ে অন্যত্র, অন্যজনে, যদ্যপি হাঁটাপথে তার
সে স্বর্ণকাল ছিল আগমন জুড়ে,  শুধুমাত্র তারই জন্য।
এবং স্মরণে নেই আমার
প্রাঙ্গনে মোদের অশ্বথ ছিল
ঝর্ণা সে এক , মেঝে তার মর্মরে স্থাপিত, সুবিশাল দরজায়
ছিলাম মোরা হতচকিত , আর সেথা , ত্বরায়  সময়
দ্বিতীয় কক্ষটিতে তার , আমাদের মুখোমুখি ছিল পোশাকের ঘর
ছিল এক আয়না
যাচনা সে আয়নায়, মোদের সময়, এখন।
আর আমার বাবা সেথা দাঁড়িয়ে ছিলেন একাকী , সে হলঘর যেথা ধায়
সিঁড়ি বেয়ে ছাদের সীমায়
ধন্যবাদান্তে তার দিনগুলোকে
প্রস্তুতিতে বুধবারের ভাতঘুমের প্রহর
অথবা বিষ্যুদবারের ভোর
সেথায় তার প্রস্থান , যা তিনি রেখে গেলেন সেথা , জলাধারে
পূর্ণতায়
যেথা আসন জুড়ে তার শনিবারে উত্থিত কালে আমাদের সময়।
আমার বাবা চাননি বেশি কিছু আর জীবন থেকে এক
বাড়ী এক, সন্তানাদি পাঁচটিতে
যারা ঘাঁটায় না তার নথি সেথা
যা ছিল প্রলয় ইতিমধ্যেই
আর কন্যা দ্বয়
বিনুনী কাল, সে বাড়ী জুড়ে তার, মুখর বিলম্বিত,  সময়।।


আজ ২৬ বৈশাখ ১৪৩১