গুপ্তিপাড়ার মুক্তিবাবুকে সক্কলেই তো চেনো,
নতুন নতুন বুদ্ধি ভাঁজায়, জোড়া নেই তার কোনো।
শুভ বড়দিনে সকলের ঘরে, যখন কেকের সারি,
এনেছিলেন তিনি তখন , খেঁজুর গুড়ের হাঁড়ি ,


নববর্ষটা এসেই গেলো, দরজায় হেঁটে হেঁটে -
মুক্তিবাবু চিন্তা করেন, আপন মগজ ঘেঁটে,
নতুন বছরে নতুন বুদ্ধি হাজির করতে হবে,
কি করলেই কি করা যায় , সেটাই চলেন ভেবে।
গতমাসেতেই বিদ‍্যুৎ বিল , এসেছে বড্ড বেশী
একটু কমাতে চান যদি বিল, নেই তাতে কোনো দোষ ই ।
অনেক কষ্টে শানিয়ে মগজ, বুদ্ধি খাটান মেপে,
পারেন যদি, বিদ‍্যুৎ বিল, নামবেই এক ধাপে ।


সবাই যখন ভ‍্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস করে কষ্টে,
মুক্তিবাবু মিটারের তার কাটতে ওঠেন পোষ্টে ।
থামলো বাড়ির যত পাখা সব একসাথে হুস করে,
ছেলে মেয়ে বৌ, সকলে বিকট গরমেতে ঘেমে মরে ।
বললো সবাই একসাথে, " ওগো, কি করলে হায় এটা -
গরমে সবার প্রাণ যায় যায় , তুমি কি বোঝোনা সেটা ?"
মুক্তি বলেন "বাবা রামদেব, আদেশ করেছে সবে -
কিনবো তালের পাতার পাখা, শিল্প বাঁচাতে হবে"
এছাড়া বাবা দারুন একটা ,টোটকা করেছে বার,
এক ঝটকায় কমে যাবে ঠিক বয়েসটা সবাকার ,"
বয়সটা সবাই কমাতেই চায়, মুক্তি বাবু জানে,
সবাই তখন চুপটি করে কথা শোনে এক মনে ।


মুক্তি বলেন - ফলবেই এটা ,নেই তাতে কোনো  সন্দ
তোমরা যদি চিনতে পারো নিজের ঘামের গন্ধ ।
এক এক জন মানুষের ঘামে এক এক গন্ধ হয় -
তোমরা সেটাই শুঁকে বলবে, কার ঘাম কিসে রয় ।
ঘামেতে থাকে টক্সিন কতো, ঝরিয়ে করবে বার,
ঝরলে কমবে বয়েস , শরীর নীরোগ হবে সবাকার ।
এই বলে তিনি ধরিয়ে দিলেন, শিশি সবাকার হাতে,
সবাই তখন ভরতে শিশি, ঘাম ঝরাতেই মাতে ।
ঘাম ধরে সব শুঁকে ভালোকরে, ভরতেই থাকে শিশি,
মুক্তিবাবু বলেন - তোমরা ,করো আমি ঘুরে আসি ।
আড়ালেতে গিয়ে মুক্তিবাবু, চাপড়ে নিজের পিঠ -
বললেন মনে - জিওরে মুক্তি, তুমি আজকেও হিট ।।