যদি তোর নামটা রাখি ফড়িং -
তাহলে কি ঘাসের মাথায় নাচবি তিড়িং বিড়িং ?
তুই যা দস‍্যি -
সত‍্যি হয়তো নাচ লাগাবি, ঘাসের ডগায় উঠে -
আর , ঠিক তখুনি একটি পাখি ধরবে তোকে ঠোঁটে,
ছাড়া পেতে প্রাণ বাঁচাতে চেঁচাবি বার বার -
আসবো যখন ছুটে - তুই , তখন পাখির পেটে ,
তোকে কোথায় পাবো আর !


যদি ময়না রাখি নাম -
কিচমিচিয়ে বলবি হরে কৃষ্ণ হরে রাম ?
মাথার কাছেই উড়ছে বাজ আর চিল -
ওদের চোখে ফাঁকি দেওয়া নিতান্ত মুশকিল ,
এক ছোঁ মেরে ধরবে চেপে টুঁটি -
অক্কা পাবি , চিরতরে জীবন থেকে ছুটি ,
এসে যখন ডাকবো ময়না ওরে -
তখন তো তুই বাজের খপ্পরে -
তোকে আর পাবোনা ফিরে ।


যদি তোকে " নির্ভয়া " বলে ডাকি -
ধর , সারাদিনের পরিশ্রমে শ্রান্ত দেহ -
নিজের ঘরে - রাতের বাসে - ফিরছিস একাকী !
এমন সময় চার পাঁচটি বেপরোয়া ছেলে -
মারলো থাবা - কন্ডাক্টর উধাও তোকে ফেলে ,
তোর ,শরীর নিয়ে চললো ওদের হাতবদলের খেলা -
তোর , আগলে রাখা শরীরটাকে করলো ফালাফালা ,
লড়াই কি আর করিসনি তুই , কিন্তু, কি করবি আর বল -
ওদের নখে দাঁতে ধার যে ভীষন - বিষাক্ত ছোবল ,
তোর , শরীর নিয়ে চললো ওদের আদিমতার খেলা -
সব প্রতিরোধ তুচ্ছ হোলো , নিশুত রাত্রিবেলা !
ছোট্ট শরীর - খুব কষ্ট নারে ? কেন এমন হয় !
ক্লান্ত দেহ শান্ত হোলো , চোখেতে বিস্ময় !
তোর , ক্ষতবিক্ষত ছিন্ন শরীর ,প্রাণটুকু যা আছে -
ভগবানের অশেষ কৃপা ,পেলাম তোকে - তুই তখনো বেঁচে ।


তোর আর কোনো নাম দেবোনা ,তুই তোর নামেতেই ভালো,
হাসিখুশী আনন্দে থাক - ভূবন করে আলো ,
তুই যে আমার দুর্গা কালী - তুই যে সরস্বতী -
তুই আছিস তাই জগৎ আছে - আছে চলার গতি ।