কৃষ্ণচূড়া মান করেছে , মুখখানি তার ভার
কলকে ফুলের সঙ্গে কথা বলবে না সে আর,
কলকে বলে রাধাচূড়ার রং নাকি ধার করা !
তাই না শুনে রাধাচূড়া কেঁদে কেঁদেই সারা,
এসব দেখে বললো টগর- আমার কথা শোন,
সম্পর্কে অতসী তো, আমার ছোট বোন,
আমার থেকে রং নিয়ে সে করলো মাখামাখি-
তাই বলে কি রংটা আমার কমে গেলো নাকি ?
পাশেই ছিল গন্ধরাজ, বললো গলা তুলে-
আমার থেকে রং নিয়েছে রজনীগন্ধা ফুলে -
ধুঁতুরা ছিলো কাছেই কোথাও, বললো সাথে সাথে,
ঘেঁটু ফুলের রংটা আমার, কি হয়েছে তাতে ?
এসব শুনে পলাশ বলে, আমার কথা বলো,
আমি যখন রং ছড়ালাম - রঙ্গণ জবা নিলো ,
এসব শুনে মনে মনে ভাবে অপরাজিতা -
আকন্দ আর গাঁদা আমার অনেক দিনের মিতা,
করবী তখন বললো কথা কাঁঠালিচাঁপার কানে
স্বর্ণচাঁপা প্রেম করেছে হাসনুহানার সনে ,
শিউলী বকুল শুনে বলে, কি হয়েছে তাতে ?
জুঁই এর সাথে বেলফুলের তো বিয়েটা আজ রাতে !
ছাতিমফুল আজ গন্ধ দেবে, গোলাপ দেবে সাজ,
ডালিয়া নিজে পাতবে বাসর, জিনিয়াও ব‍্যস্ত আজ,
দোপাটি আর কেতকী কদম নয়নতারার সাথে
তুলে দেবে জুঁইবেলকে , চন্দ্রমল্লিকার হাতে ,
পদ্ম হবে পুরোহিত আর, শালুক তন্ত্রধারী
সূর্যমুখী আর মোরগ ফুলে বাইবে নৌকা দাঁড়ি ,
হৈ হৈ করে কেটে যাবে রংমিলান্তি ভোজ -
ফুটে যাবে সন্ধ‍্যামনি , কুন্দটাকে খোঁজ,৪
নাইন ও ক্লক চোখ মেললেই লগ্ন হবে শেষ,
তোমরা সবাই ঘুরে যেও ফুলকাহিনীর দেশ ।।