যদি , তোকে নিয়ে লিখতে বসি একটা প্রেমের কাব‍্য !
কেমন করে কিসের সাথে মেলাই তোকে -
সেটাই আগে ভাববো -


যদি ,তোর ঐ এলোকেশে , কালবোশেখির মেঘের কথা ভাবি ?
তুই ,বলবি আমায় - থামো , কি সব ভাবছো হাবিজাবি ?
আমার চুলে বাঁধবো বেনী , দোবো যূঁথির মালা -
ছাড়ো তোমার এলোকেশী , বড্ড জটের জ্বালা ।


বলবো আমি, নারে পাগলি - তোর ঐ এলোকেশ -
ওড়ে যখন দখিন হাওয়ায় , দেখতে লাগে বেশ ,
থাকনারে তুই এলোকেশী , নাইবা দিলি ফুল ,
ফুল লাগালেই রূপ খুলবে - এটা মনের ভূল ।
এলোকেশী দুর্গা আমার , এলোকেশী কালী -
এলোকেশী রাধা - যখন ডাকে বনমালী ।


তুই বলবি রাধা কেন ?  রাধার বড় দুখ ,
কেমন তুমি, চাওনা আমি - দেখি সুখের মুখ ?
আমি বলবো নারে সোনা , তুইতো আমার আমি !
এতো যদি প্রশ্ন তুলিস, তবে বল , এখানেই থামি ।


এবার তোর ঐ গভীর শীতল চোখ দুটোকে ধর -
একটা ভাবি পুষ্পক, অপরটা মানস সরোবর ।
দুই সরোবর , তোর দু চোখে , তুই যে আমার দেবী !
তুই বলবি - আমায় নিয়ে এঁকোনা ঐ ছবি ।
তোমার মুখে দেবী ডাকে , লাগছে আমার ভয় !
তুমি আমায় করবে পূজো , ছিঃ , সেটা কি হয় ?
আমি বলবো, ভুল করছিস , এটা কথার কথা ,
এমন করে গুলোস যদি , ঘুরবে আমার মাথা ।


এবার তোর ঐ ঠোঁট দুটোকে কি আর ভাবি বল ,
একটা ধর ঐ গোলাপ, আর অন্যটা শতদল ।
তুই তখনি ঠোঁট ফুলিয়ে বলবি , করলি কি ?
মুখে আমার ফুল ? এবার চন্দন দিবি নাকি ?
আমি তখন বলবো , ক্ষেপী, আমার কথা শোন -
রইলো আমার কাব‍্য লিখন , থাম তুই এখন ।


এটুকুতেই এই অবস্থা, ঘেমেনেয়ে একশেষ -
অতো বড় শরীরখানা - লিখতে জীবন শেষ ।
তুই বলবি, আমার তুমি গতরের দিলে খোঁটা ?
আমি বলবো, চুপ কর তুই , আমি মাথামোটা ।
তোকে নিয়ে কাব‍্য লিখবো - মাথায় কেন যে এলো !
তার চেয়ে আমার জলে ডুবে মরণ হওয়াই ভালো ।।