ইচ্ছেমতো দেশটাকে তো ভাগ করেছো
যার যেটুকু পাবার ছিলো হাতিয়েছো
তবু কেন লড়াই লাগাও জনে জনে
মনুষ‍্যত্ব একটুও কি নেইগো মনে ?
চর্ব‍্য চোষ্য লেহ‍্য পেয় খেয়েছো তো
এবার ছাড়ো - বাঁচতে তো দাও নিজের মতো !


আমিনা দির কোলে কোলে হলাম বড়
আমার জন্যে আনতো লজেন্স বড়বড়
গরীব ছিলো তাওতো ছিলো মনটা উঁচু
সারাদিন ই ঘুরতো আমার পিছু পিছু
ভাই ডেকেছে - দায়িত্ব তো ছিল ভারী
খেলতো আমায় সঙ্গে নিয়ে খেলামদারি


গফুর চাচা চাষ ক‍রতো লাঙ্গল ধরে
পাকা ধানে উঠতো বাড়ীর গোলা ভরে
কোনোদিন ই ভাবেনি কে পর কে আপন
বাবার মতোই দেখাতো ভয় করতো শাসন
বাবার পায়ে করতো প্রনাম নুইয়ে মাথা
সব আবদারে চাচাই ছিলো সবার ত্রাতা


আমার সাথে পড়তো রহিম আর সুলেমান
এক থালাতেই খাওয়াতো মা শোনাতো গান
মায়ের স্নেহে ছিলোনা তো ভাগাভাগি
তিনটে মায়ের কাছেই ছিলো সমান দাবী
সেই সুলেমান আজো আছে আমিও আছি
দুইজনেতে দুইপারেতে সমান বাঁচি


কাঁটাতারের বুনছো বেড়া বেশ করেছো
মনের মাঝে বিভেদ গাছের বীজ পুঁতেছো
আমরা সবাই বাঁধছি কোমর গুটিগুটি
উপরাবো সব কাঁটাতার আর বেড়ার খুঁটি
আসবে ফিরে আমিনা দি গফুর চাচাও
যাবে কোথায় ? চ‍্যাঁচাবে সব বাঁচাও বাঁচাও


ভিড়বে সেদিন নৌকা ইছামতীর ঘাটে
আমি রহিম আর সুলেমান ছুটবো মাঠে
আমার ঘুড়ি লাটাই সুলেমানের হাতে
রহিম কষে মাঞ্জা দেবে কাঁচ আর ভাতে
আমিনা দি ভাসবে সুখের চোখের জলে
আমার দুচোখ মুছিয়ে দেবে তার আঁচলে


গফুর চাচা আসবে ছুটে বাবার কাছে
জানবে বাড়ীর সবাই এখন কেমন আছে
হনহনিয়ে ছুটবে ধানের জমির দিকে
দেখবে হলুদ ধান পেকেছে কাটার মুখে
সবাই মিলে মেলবো সেদিন খুশির ডানা
এক সু্রেতে বলবো এদেশ আর ভাগ হবেনা
ভাগ হবেনা ভাগ হবেনা ভাগ হবেনা ভাগ হবেনা ।।