গুপ্তিপাড়ার মুক্তিবাবু খেঁজুড় গুড়ের ভক্ত,
প্রতিরাতে বিশটা রুটি খাওয়া করেছেন রপ্ত,
চাইনা কোনো তরকারী তার - চাই গুড় এক বাটি-
তা না হলেই মুখটা ব্যাজার - ডিনার খানাই মাটি,
বড়দিনে সবার ঘরে যখন কেকের সারি -
মুক্তিবাবু নিয়ে এলেন নলেনগুড় এক হাঁড়ি,
দেখে সবাই চমকে পিলে , বললো করলে কি ?
বড়দিনে কেক না খেলে, লোকে করবে ছিঃ,


মুক্তিবাবু আবার গেলেন- আনতে কিনে কেক,
কেকের দোকান ফেলেই পাশে খেঁজুড় গুড়ের ঠেক,
বিড়বড়িয়ে মুক্তিবাবু মনে মনে বলে ,
কেক পাওয়া যায় সারা বছর - নলেন গুড় কি মেলে ?
যেমনি ভাবা ওমনি কাজ- গিয়ে গুড়ের ঠেকে -
এই কলসীর- ঐ কলসীর গুড় দেখলেন চেখে,


ছেলে মেয়ে এ্যান্টি সবাই - বৌ ও কেকের দলে !
মনজূগিয়ে চলতে ওদের - জীবন রসাতলে,
নিতাম যদি কুমার ব্রত - থাকতো না ঝামেলা -
মস্তবড় ভুল করেছি - খাচ্ছি এই কানমলা,
কোথা থেকে ঘাড়ের ওপর জুটলো এসে রাধা -
এত্তো সাহস ? দিচ্ছে আমায় খেঁজুড় গুড়ে বাধা !
অনেক ভেবে- সাহস নিয়ে - এলেন ডিসিশনে -
তিন কলসী গুড় কিনে তাই চলেন গৃহের পানে,


বাড়ী এসে মুক্তিবাবুর পাল্টে গেলো ভোল -
বল্লেন- কেকের দোকানেতে বিরাট গন্ডগোল !
দিদি মোদী সবাই মিলে আদেশ করেছে জারি -
কেক চলবেনা বড়দিনে - চলবে গুড়ের হাঁড়ি ,
তাই শুনে সব ভেবে বলে - ঠিক বলেছে ঠিক !
মুক্তিবাবু মনে মনে হাসলেন ফিক ফিক ,
কাল সকালে কেক না কেটে - কাটবো গুড়ের হাঁড়ি -
বড়দিনটা বিদেশী নয় - স্বদেশী তেই মারি ।।


#####################