সময়ের ভাঁজে ভাঁজে,উঁকি দেয়,কত শত ব্যথা
কত আশা জাগে দিঘির জলে ,আলোচিকার মতো ।
কালো পিচ রাস্তায়,ঘোড়ার নাল পরে হেঁটে যাওয়া স্বপ্নেরা
ওই দূর দিগন্তে সরু হয়ে মিশে যাওয়া রাস্তার মরীচিকা
মিলিয়ে যায় ফণিমনসার ঝাড়ে।


যে স্বপ্নীল আশা,চোখের তারা হতে বিকীর্ণ
যত্নে রেখেছি পুষে,পায়রার চিকন বুকে,
নিরুদ্দেশ হয়েছে সে বুক,চমকের কাছে।
স্বপ্নেরা সব গৃহস্থের হেঁসেলে -
আঁড়ি পেতে হাঁড়ি খাওয়া বিড়ালের মতো,
যেই আগলে ধরতে যায়, বগল দেবে
নিম্নাঙ্গ ঝুলন্ত লন্ঠনের মতো অবনত করে;
অমনি সে পায়ের ফাঁক গলে দে ছুট...
অন্ধকার গলি বেয়ে কবরের দিকে।


যখনই আদি আনন্দধারা তির তির করে
প্রবাহিত হওয়ার অদম্য নেশায় অবিচল;
উথলে উঠেছে লহরী শ্রোণীর পাতাল পুরে,
ঠিক তখনই থেমে গেল কর্ষণ !
মাথার ভিতর এক রহস্যময় কৃষ্ণ গহ্বর
সমস্ত চেতনাকে নিলো গিলে
যেন জমিন হতে আসমান গেল দূরে চলে।