যে কবিতা লিখেছি আমি
তুমিই তার প্রেরণা,
ওগো প্রেয়সী,তুমিই আমার
রোমান্টিক কবিতার নায়িকা।


তোমার মায়াবী শরীরের, প্রতিটি অলঙ্কারের
জীবন্ত ছবি এঁকেছি চিত্তপটে,
সেই তুলির আঁচড় হার মানাবে
মোনালিসাকেও।


সে ছবি কলমের ডগা দিয়ে
এসেছে বেরিয়ে প্রতিটি লিপিতে
সঞ্জীবনি সূধা হয়ে কবিতার প্রাণে।


তোমাকে যেদিন দেখেছিলাম মুগ্ধ হয়ে
তুমি জানতে চেয়েছিলে
সেই আরক্তিম মুগ্ধতার কারণ,
কিন্তু আমি কোনো সদুত্তর দিতে পারিনি
তোমার সেই প্রশ্নের !


সেই মুগ্ধতার প্রগাঢ়তম আরাম
শুধূ অনাবিল জ্যোৎস্নার বারিধারা
লয়ে আসে এই প্রাণে।


চাঁদের আলো যেমন
মেঘবালিকার গা পিছলে
রাত্রির অন্ধকার হারায়
তোমার দেওয়া সেই দুঃখ তেমনই
সমসুখ হয়ে আঁখিতে জল ঝরায়!


সেই কান্না ললিতে বেহাগে
পূর্বাকাশে শুকতারা হয়ে ঐ জাগে
রচে নব সূরের মূর্চ্ছনা।