রোজ ভাবি তোমায় লিখবো, কিন্তু ভেবে পাইনা কি লিখবো,
আমার আকাশ জুড়ে এখন শুধু অন্ধকারের না দেখা জোনাকির
নিত্য আস্ফালন। শেষ কবে তোমায় ভালোবাসি বলেছি মনে করতে
পারছিনা। খুব ইচ্ছে করে নিজের মতো করে তোমার আকাশে
রংধনুর রঙের মতো উজ্জ্বল হয়ে জেগে থাকি। তোমার স্পর্শের জাদুতে
সব কষ্টগুলোকে দূর কোনো সাগরের ঢেউয়ের মাঝে ভাসিয়ে দেবো।
একাকী আমার সময়গুলো মাঝেমাঝে চোখ রাঙিয়ে কিছু বলে যায়।
শূন্যতার মাঝেও কেমন পূর্ণতার আবছায়া। হেঁটেচলা সুখগুলো যেন
সময়ের না লেখা মরীচিকা বর্তমান।


ফেলা আসা সেইসব সুখ ছোঁয়া দিনগুলো ফিরে কি পাবো,
কেন জীবন থেকে জীবনকে আজ এতোটা খুঁজে ফিরি। সত্যি তোমায়
হারিয়ে এযেন তোমাকেই কাছে টানি। এতোটা নিঃসঙ্গ মন কখনোহয়নি।
তবু বইয়ের পাতাগুলো কেমন অবহেলায় রোজ কিছু বলে যায়। ধুলোপড়া
স্মৃতির রঙে সবই সাদাকালো। একদিন এসে দেখে যেও আমার সাজানো পৃথিবীর
বিবর্ন উঠোন। সেখানে সবই ছিলো তবু আজ কিছুই নেই। তোমার প্রিয় ফুলের
বাগান জুড়ে এখন শুধুই রোদের ছায়া। প্রিয় উঠোনের এক কোণে পড়ে আছে
আমাদের কিছু না বলা স্মৃতি। মনে পড়ে সন্ধ্যা আকাশের জ্বলে থাকা তারার
পানে দুজনার অপলক চেয়ে থাকার ক্ষণ।


তুমি যখন পড়ছো তখন আমি তোমার থেকে যোজন যোজন দূর।
সত্যি বাস্তবতা কেন যে গল্পের পাতা হয়না। যার শেষটায় কখনোদুঃখ
লেখা থাকেনা। কেন কবিতার প্রিয় লাইন হয়না যার সবটা জুড়ে কল্পনা
মিশে থাকে। কেন সাগরের ঢেউ হয়না যা বারবার পাহাড়ের মাঝে মিশে যায়।