ফজরের প্রার্থনা শেষে রাস্তার ধার ধরে–
প্রতিদিন কিছুটা পথ হেঁটে যাই বাতাসের সাথে,
হিমালয় কন্যা পঞ্চগড়ে আশ্বিনেই কুয়াশা পড়ে
ঘরে আসি ফিরে, শীত শীত ভাব গায়ে মেখে।।

আজ আশ্বিনের শেষ দিন, অনিবার্য কারণে
ভোর সাড়ে পাঁচটায় অফিস পানে দিলাম ছুট,
সতেরো কিলোমিটার যেতে দেখলাম যা নয়নে
সব দৃশ্য দস্যু হয়ে আমার মন করে নিলো লুট।।

হেমন্ত আসতে পুরো একদিন বাকি; তবু কুয়াশা
ঠিক মধ্য মাঘের মতো বিছিয়েছে তার চাদর,
বায়ু কেটে বাইকে চড়ে ছুটছি শান্ত পথ ধোঁয়াসা
শীতল পরশ পোষাক কেটে কাঁপায় হৃদ-বন্দর।

কোথাও ছোট-বড়, কচি-কাচা করে শরীরচর্চা
তরুণ-তরুণী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, মধ্য বয়সী কেউ কেউ,
হেঁটে যায় বহুদূর অঙ্গে জড়ায়ে শীতের সজ্জা,
আগাম শীতের শিহরিত ছোঁয়ায় সতেজ হৃদয়।

কোথাও পথের ধারে হাঁটু জলের ছোট বিলে,
ফুটেছে শত শত লাল আর সাদা সাদা শাপলা,
কচুরিপানার হালকা সাদা-নীলাভ ফুলে ফুলে
নয়নের দৃষ্টি স্নিগ্ধতার সাথে করে যায় খেলা।।

দেখতে দেখতেই অফিসে; দেখার সাধ মরে নি,
কুয়াশাচ্ছন্ন সুনসান সকাল, শীত আসার বার্তা,
শীত অনেক দূর, কাল আসবে হেমন্ত; জানি,
তবুও মনে থাকবে আজকের সকালটার কথা।
-------------------------------------------
১৫/১০/২০১৮🖋    
৩০ শে আশ্বিণ, ১৪২৪।