বেচেছিলাম Oxygen এর জন্য পথিক
আমি অভাগা, সাবলীল ছিল আত্মা!
হঠাৎ ঘর থেকে ছুটে কোন এক,
মধ্যদুপুরে তাঁর সাথে দেখা!.
সেদিন আবহাওয়া ওত সুন্দর,
পুরনো দিনের বাংলা ছবির মত ছিল নাহ।
তবুও মনে হচ্ছিলো চারিদিকে,
মৃদু প্রেমের আহা গন্ধে আবছা প্রেমের
কুয়াশা আমায় ঘিরে ফেলল,
বিশ্বাস করেন, তার স্বল্প মায়া আমায়
নিমিষেই ডুবিয়ে ফেল্লো।
আমি কেনো যেনো তারে চেয়ে বসলাম!
আত্মা আমায় এগিয়ে বল্লো..
এরেই তো খুজেছিস এতদিন!
আমারো ক্ষানিক মনে হয়েছিল বটে,
তবে তাৎক্ষণিক মস্তিষ্ক আমায় বলে,
ছেড়ে দে তুই মানুষ, এসব তো
সচারাচরি ঘটে।
মস্তিষ্কের কড়া দাপটে আত্মাও থমকে গেলো,
বলে তুই বাস্তবতার পথিক, আত্মা রয়ে গেলো।
ফিরে আসলাম....
তারে যেন ভুলতে পারছিলাম না,
প্রচন্ড তাপদাহে বিকেল নামলো,
ও মা মধ্য দুপুরের সেই প্রেমের কুয়াশা
আমায় আবার যেন ঘিরে ফেল্লো।
হঠাৎই মনে পড়ল তার মায়াভরা মুখটা,
মস্তিষ্ক কি করবে ভেবে পাচ্ছে নাহ,
বলছে এ কোথা থেকে এলো মরন যন্ত্রণাটা।
আমি এমটিআইটি যেন দুজনের তর্কের,
মাঝখানে চুপচাপ ভাবছি,
কুয়াশায় তার মায়াভরা মুখটা আকছি।
তাদের ৪র্থ বিশ্বযুদ্ধে,
আমি তার মায়াভরা মুখ নিয়ে ৫ম আকছি।
এ যেন এক শীতল অনুভূতি,
নিমিষেই সব শীতল করে হয়ত,
এজন্যই সমাজ একে ভালোবাসা বলে" হয়ত।
তর্কের মাঝখান থেকে আত্মা আমায়
জানান দিচ্ছে মিষ্টি খাওয়া,
তোর গন্তব্য তোকে উঁকি  দিচ্ছে,
হয়ে গেছে অমর ভালোবাসা!
মস্তিষ্ক বলছে নাহ সব মিথ্যা, কুয়াশা,
ভালোবাসা বলতে কিছুই হয় নাহ,
সব প্রয়োজনেই সিমাবদ্ধ।
কি করবো এখন ভাবছি?
আত্মাও আমার আপন মস্তিষ্ক ও
সবকিছুর মধ্যেও যেন সেই মায়াভরা মুখটা,
ভুলতে পারছি নাহ!
বারবর সেই শীতল অনুভূতি!
কুয়াশার ঘিরে ফেলা কল্পনায় বৃষ্টি নিয়ে
খেলা সব মিলিয়ে যেন আত্মার" অনুভূতি।
ক্ষনিক থমকে বল্লাম চুম করো তোমরা,
আমি বল্লাম, মস্তিষ্ক ছাড়া আত্মার কোন,
অস্তিত্ব নাই আর আত্মা ছাড়া মস্তিষ্কের!
১+১=২ জনের সম্মতিতেই ভালোবাসা হয়,
আর সেটাই চিরস্থায়ী এবং অমর হয়।
অপেক্ষা করছি মস্তিষ্কের সম্মতির জন্য....