জমে থাকা জল উড়ে-উড়ে গড়ে মেঘের পাহাড়,
মেঘ থেকে বৃষ্টি ঝরে করে বর্ষার সমাহার।


দিগন্ত পাড়ি দেয় ছন্নছাড়া ধুসর মেঘের দল,
প্রকৃতির দুয়ারে আঘাত হানে চঞ্চল বৃষ্টির জল।


নিজেকে উজার করে; সতেজ করে ফসলের মাঠ,
বর্ষণে তার ভিজিয়ে তোলে; গাঁয়ের মেঠোপথ-ঘাট।


বৃষ্টি আগমনে লাজুক রক্ত-পুষ্প হয়েছে অবনত,
ভারি বর্ষণে গন্ধ-রাজের কলি ফুটছে অবিরত।


বৃষ্টির জল গেয়ে গেল গান বর্ষার আগমনের,
তাই রংধনুটাও তুলল খবর মেঘে জল ধারণের।


হাজার কবিদের বৃষ্টি নিয়ে কাব্য লেখা হল সারা,
কত লেখকের - বৃষ্টিই ছিল উপন্যাসের প্রথম ধারা।


কারো বৃষ্টি জল খুব আপন - এনে দেয় পূর্ণতা,
সেই বৃষ্টি-জল বর্ষা রূপে এলে কেন তাদের শূন্যতা?


কৃষকের হাসি এই বৃষ্টির জল, ব্যাচেলরের ঘুম।
চাকরীজিবির চাওয়া একটু মুশুলধারে বৃষ্টির ঝুম।


কল্পনা প্রবণ মানুষ গুলোর; বৃষ্টিই চির উপহার।
বাস্তবপ্রিয় মানুষের কাছে তা যেন পথের উপসংহার।