তোমার কী ইচ্ছে করে?
সাইয়িদ রফিকুল হক


তোমার কী ভালো লাগে একবার বলো তো?
এই পৃথিবীর নীলাকাশ আর আলোকিত-জোছনা
দেখতে ইচ্ছে করে তো?
আর খুব মনভরে দেখতে ইচ্ছে করে তো?
আচ্ছা, তোমার স্বপ্ন দেখতে কেমন লাগে বলো তো?
আর স্বপ্নে তুমি কোথায়-কোথায় যেতে পারো?
আর তোমার কি আছে কোনো স্বপ্নের ভুবন?
আচ্ছা, তোমার মনে কি কখনও উঠেছে চাঁদ?
একফালি কিংবা পূর্ণ-জোছনার মধুমাখা-চাঁদ!
কিংবা তোমার বুকে কখনও কি দেখেছো
নির্জন-রাতের মোহনমধুর চাঁদের হাসি?


চাঁদনীরাতে বাড়ির খোলা ছাদে—ফুরফুরে বাতাসে
তোমার কি শরৎ-রবীন্দ্রনাথ পড়তে ইচ্ছে করে?
আচ্ছা তুমি কখনও খোলা ছাদে বই পড়েছো?
এই ধরো—বিভূতি, মানিক, তারাশঙ্কর, বুদ্ধদেব!
আরও আছে আমাদের শরৎবাবু আর রবীন্দ্রনাথ।
কেমন লাগে এঁদের বই পড়তে?
তাও আবার বাংলার সুনীল-আকাশের নিচে!
আজ তোমার কথা মনে হতেই জানতে ইচ্ছে করলো।
জোছনা রাতে তুমি কতটা সময় জেগে থাকো
গ্রিল ধরে তোমার প্রিয় জানালার ধারে!
নাকি তুমি বসে থাকো তখন তোমাদের খোলা ছাদে?
নীল-জোছনা দেখতে তোমার কেমন লাগে বলো তো?
জোছনা-রাতে জোছনার আলোকে কখনও বই পড়েছো?
কী ঝকঝকে, তকতকে আর ফুটফুটে জোছনার আলো!
আচ্ছা, তোমার কী ইচ্ছে করে একবার বলো তো শুনি?
আর তোমার ইচ্ছেগুলো আমার মনমতো হলে—ভালো লাগলে
আমার বুকের ভিতরে ওদের ভালোবেসে বড় করে তুলবো।
এই পৃথিবীর আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে একবার বলো তো শুনি।



সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
৩০/০৪/২০১৭