ক্ষুধার্থ ও বিবস্ত্র মানুষের কোন ধর্ম থাকতে নেই।
লজ্জা নিবারণের বস্ত্র এবং ক্ষুধা নিবারণের খাদ্যের
কোন কপিরাইট থাকতে পারে না।


যে মানুষটা বেঁচে থাকতে দুমুঠো ভাত পেল না,
পেলোনা পরনের বস্ত্র,
একমুঠো ভাতের জন্য এবাড়ি-ওবাড়ি করতে হলো..
তিন দিন ক্ষুধার্ত থেকে মরতে হল যাকে।
শান্তিতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার জন্য পেলোনা পছন্দের মাটি।
হয়তো ভাগের জল টুকুও পায়নি সে...


আজ দেখলাম কাতলা মাছের মুড়োয় সাজানো হয়েছে তার প্রেতভাতের হাঁড়ি।
সমাধিতে রজনীগন্ধার চাদর।
প্রিয় আম গাছের তলায় সাজিয়ে রাখা
শ্রীলেদার্সের জুতো, জামা, শাল কাঠের পালঙ্কে আরামদায়ক তোষক,
কোলবালিশ, কে সি পালের ছাতা, আরো কত কি...


আদরের ছোট ছেলে মাথা ন্যাড়া হয়ে
গঙ্গা স্নান সেরে সমাধিতে ঢেলে আসে জল।
প্রিয় বৌমা প্লাস্টিকের ফ্রেমে বাঁধানো ছবিতে
গুঁজে দেয় প্রিয় ফুল,
ছবির কপালে আঁকা চন্দনের টিকা।
প্রতিবেশী হা-হুতাশ করে।
“মানুষটা বড় ভালো ছিল"।
বুঝলে, মানুষটা বড় ভালো ..... ছিল।