তোমার জন্য সাগরের নোনাতীর থেকে
বালুকাময় প্রবাল আনতে যাই,
সাগর শুকিয়ে আসে-
প্রকৃতির তমসাবিলাসে;
বিনিদ্র রজনী পাড়ি দিয়ে সতত হারাই-
তোমার ওই দৃপ্তিঘেরা রক্তিম প্রভাসে।


প্রচন্ড দাবদাহে পাথরের হৃদয় গলে যায়,
তুমিতো তখনো মুখে ধরে রাখো সূর্যের হাসি;
একদা আমার প্রাণ তোমাতে মুগ্ধ হতে চায়-
ছুঁড়ে ফেলে যত প্রথা নিরন্তর শব্দপ্রবাহে ভাসি।


নেবুচাঁদনেজারের যত্নে ঘেরা শূণ্যউদ্যানে-
জীবনের বালিঘড়ি বাজিতে অর্পণ করি,
সহস্র মাইল হেটে বেড়াই
ব্যাবিলনের পথে ও প্রান্তরে-
তোমাকেই হৃদয়ের শব্দমালার স্বনক উৎস ধরি।


আমিতো বারে বারে ক্লান্ত হয়ে ঘরে ফিরে আসি,
তোমাকেই কেন্দ্র করে পরিধি বোনে জীবনের পাপ-
শুষ্ক মরুর বুকে জলহীন মৃত্যুর পাশাপাশি,
তোমার জন্য চাষ করি
অতিতুচ্ছ এক লাল গোলাপ।