এসো হে শরৎরানি নব রূপে এই বাংলার বুকে।
শরৎ সকাল আসে আনন্দ-অনুভূতি ভরা মুখে।


বর্ষা গমনে স্নিগ্ধ প্রকৃতির আঁচে, দাবদাহ কেটে যায়।
বর্ষণের নিবিড় ঘনঘটা সরে আকাশ, শীতল পবন নেয় ঠায়।


নবান্ন উৎসবে মেতে উঠে গ্রাম-বাংলা, নব ধানের উত্থানে।
শাপলা ফুটে প্রেয়সীর হাসি ভরা মুখে সৌন্দর্য লয়ে প্রাণে।


প্রাঙ্গণে লুটায় শিউলী ফুলে বিছানো মৃত্তিরও বুকে।
স্নিগ্ধ প্রভাতে বর্ষার মুক্তদানা শিশির, ঘাসের শীর্ষে রয়েছে ঝুঁকে।


বর্ষার খরস্রোতে নদী পূর্ণ থেকে করে অভিমান।
পালতোলা নৌকায় মাঝি গেয়ে যায় ভাটিয়ালি গান।


শরৎ শেষে কৃষাণ বুনে হেমন্তের বীজ ক্ষেতে।
কাশবনে নৃত্যেময় মাতাল সমীরণ, পরান চায় যে পেতে।


শরৎ সাজে পুষ্পে পুষ্পে কুঞ্জ ভরে রঙ্গিণে।
কামিনী,মালতি, মাধবী,শাপলা অরূপ বাংলার জমিনে।


চর্তুদিকে বাহারি ফুলের মধু ভরা হাসি ।
শারদীয়ায় মেতে উঠে সনাতনী বাসী।


শরৎতের অবারিত সবুজে ঘেরা গ্রাম হাত বাড়িয়ে ডাকে।
পিঠা-পায়েসের উৎসবে নাচে মন, আনন্দের বাঁকে বাঁকে।


নীল আকাশের মাঝে মাঝে উড়ে যায় সাদা মেঘ।
উড়ে ফিরে নীড়ে শালিক,ময়না,টিয়ের গর্জিত ডাকের বেগ।


শরৎ প্রকৃতি লাবণ্যময়ী, ঋতুরানির অনন্য এক রূপ।
সৌন্দর্যের ভান্ডার প্রকৃতি মাতা, শরৎ রূপে অপরূপ।



রচনাকালঃ ০২/০৯/২১ইং
দুপুর: ০৩.১১ মিনিট