স্পর্শে আকুল আমার অবুঝ মন,
সারাদিনরাত একেলা ঘরেতে পুড়ে –
দীপশিখা জ্বেলে যৌবন দ্বারে এসে
তুমি আছো শুধু মোর তনুমন জুড়ে।
ঝড়ে পড়ে দেখি মুঠো মুঠো বেলকুঁড়ি
দূর গগনেতে জমেছে অন্ধকার,
অভাগা একাকি হতাশ শিবিকা বয়ে
বসে থাকি আজ পথ চেয়ে দূরাশার।
পাপ-পূণ্যের হিসাব নাহিকো জানি,
জেনেছি শুধুই তুমি অমরপ্রীয়া –
তোমার নামেতে শান্তি আমার চির
বার্তা বয়ে আনে আকুল হিয়া।
জীবনের শেষ রক্তরশ্মি এঁকে
তপন যখন গিয়েছে অস্তাচলে,
তোমারে তখন দেখেছিনু আমি – হায়!
সিঁন্দুর রাঙা তোমার অবুঝ ভালে।
মেঘমল্লার রাগিণী যখন বাজে
সুগভীর সুরে শ্রাবনের বরষায় –
বিরহি চাতক কাননের মাঝে কাঁদে
সাথে কাঁদে প্রীয়া একাকিনী শয্যায়।
বর্ষামুখর রাত্রির শেষে তাই
বিরহি গুমরি মরে আজ মোর মনে –
সুদুর আকাশে ঝরে পড়ে কত তারা
বাউল বাতাস প্রীয়ার খবর আনে।
ফুল ঝরানো রাত্রির শেষে তাই
ফুলঝুড়ি সব পুড়ে গেছে অবশেষে,
হৃদয়ে আমার দাবানল অবিরাম
রাশি রাশি জ্বলে প্রীয়ারেই ভালোবেসে
ভালোবাসা তাই মিছে আজ মোর কাছে
আমার জীবনে খুঁজি যে অন্য মানে –
সব সাধ আশা দিয়াছি জলাঞ্জলি –
আমি চলি আজ দূর বিদিশার পানে।
               শঙ্কর রুদ্র