ঠাকুর!  মন  ভালো নেই একদম
২৫শে বৈশাখ চলে গেল, কী এক কাল সময়ের মধ্যে দিয়ে, কতো আয়োজন পরিকল্পনা  ,     জয়ন্তী-উৎসব নিয়ম করে আসে ফিবছর         রবি-সংক্রমন, না না এ সংক্রমন কোভিদের মতো
মারমুখ নয়, বিশ্বঅন্তর জেগে ওঠে যাতে উদ্বেল সেই চিরাচরিত সুরে -- চির নূতনের দিল ডাক হে নূতন, কতো পূূজা আয়োজন পূর্ণ ভবন কিছু নাহি লেশ আর আজ এ তব পূজারী পরিয়া এসেছে ...
হায়, আজ এই মহা শত্রুসংকটে পুণ্যলগ্ন ভ্রষ্ট আমরা  
লজ্জার দীনহীন বেশে পড়ে আছি ঘরের কোণে বিচ্ছিন্ন তোমার সেবকেরা কোন এক দুরন্ত
দুর্বোধ্য দুর্দমন অদৃশ্য অণুজীবির রক্তচোখের
কড়া শাসনে, হে চিরন্তন পৃথিবীর মহাসূর্য, দেখ তুমি চেয়ে কতো কষ্ট মনে সবার, ধূপের ধোঁয়া মালাচন্দন তোমার সংগীতে, তোমার কবিতায় উৎসব প্রাঙ্গণ শূন্য, একরাশ ব্যথা শুধু ব্যথা...  
কবিদাদু, তুমিতো হারাবার বস্তু নও কোনদিন
আছো সবার হৃয়য়ে রবীন্দ্রনাথ হয়ে, সারা বিশ্বের
চেতনা জুড়ে, তুমি পার না আলাদিনের প্রদীপ ঘষে ওই দুঃশাসনকে তাড়াতে,কত প্রাণ চলে গেছে অসময় কান্না রেখে! ওগো সুদূর ওগো কাছের


তুমিতো বলো বুক বেধেঁ তুই দাড়া দেখি...
আপনি অবশ হলে, বল দিবি তুই কারে..  
সেইতো তোমার এমন মন্ত্রশক্তি আজ               আমাদের ভরসা আগামী আলোদেখার স্বপ্ন
তাই নিয়েই আগামী পঁচিশেবৈশাখের খরসূর্যের
আলোয় নূতনসাজে প্রভাতসঙ্গীত গাইব, এই আশায়
প্রথম রবি অস্তহীন কবি শত শত প্রণাম তোমায়