(সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক)
সময়ের টানে কাব্য নদের জোয়ারে কালি-কলম;
নিখুঁদ আঁকিয়ে মুগ্ধ নয়নে এক ঝাঁক শব্দালংকারের
ঝাপি সাজিয়ে বসে তরী গহীনে-
পাশে ছোট্ট গাঁ, মেঠো পথ, সোনালী প্রান্তর,
স্কুলের পথে কিশোরী, কারো প্রতিক্ষায় অচেনা চোখ
কবিকে আবিষ্ট করে ক্ষণিকে।


বোদ্ধা মননে খেলা করে কাব্য ঢেউ-
মন থেকে হাতের পরশে কলমের প্রসব বেদনায়
ঝরে পড়ে শব্দ কনিকা, ছন্দ-মাত্রা-আঙ্গিক
এব্ং অতপর বিশাল ক্যানভাস ।


আকাশে অজস্র তারার উপরে নিক্ষিপ্ত দুটি চোখ;
গভীর রাতের নীরবতা ভেদ করে হুংকার!
'জাগো বাহে--- কন্ঠে সবার----!!!
কবির শরীরে কাব্যের আর্তচিৎকার,
কলমের আচঁড়ে এঁকে ফেলেন স্তবক,
অভুক্ত নূরলদীনের কংকালসার দেহ
মুখে, বেঁচে থাকার ভয়ার্ত ছাপ-
কবির চোখে চোখ রেখে স্মিত হাসি।
'বাহে আইছে, বাহে আইছে, আমাগো কবি বাহে'-


কবি ফিরে চলে আপন ঠিকানায়-
পেছনে বাহের জনপদ,
ফেলে আসা কাব্যিক ছবি, ঘাসের বিছানা!
একে একে সবাই ফেরে
ফেরে না নূরলদীন, থামেনা হুংকার।


আজও বেঁচে আছে নুরলদীন,
আজও বেঁচে আছে,'জাগো বাহে--'
শুধু চলে গেছে কবি বাহে-
অজানা কাব্যিক দেশে, একা লোকান্তরে।


-০৯/২৭/২০১৬
মেরিল্যান্ড