আমার গাঁয়ে সন্ধ্যে নামে, শিশির ভেজা নন্দনে,
ছন্দ জাগা মনের কোনে, দ্বন্দ্ব ভুলে বন্ধনে।
সাজছে সবে নানান রবে, খুশির বানে নিত্য দিন,
এক কাতারে উঠবে উলু, হোক না গরীব-দীনহীন!
কারিগরের হাতের ছোঁয়ায়, মায়ের মুখে অর্চনা,
জয় মা জয় মা বলে মাগো, হোক না দিনের সূচনা।


প্রতিক্ষিত দিনের ক্ষণে, পাড়া জাগা মণ্ডপে,
ধূনচি নাচের ধ্বনি বাজে, ভক্তি ভরা উত্তাপে।
দশ মায়ের চরণ চুমে, ধূপো-ধূনো-আশির্বাদ,
প্রসাদ লয়ে নম্রচিত্তে, যাক ধূয়ে যাক বাদ-বিবাদ।
ঢাকের তালে হেলে-দুলে, বাড়ি বাড়ি উলু-শাখ,
দশভূজার মহা কাব্যে, মিলন-মেলা টিকে থাক।


ঘরের দোরে মায়ের ছায়া, এলো মা যে এলো ঐ,
এসো গাহি মায়ের নামে, তাক ধি না ধিন, তাতা থৈ।
বিশ্ব মাঝে তোমায় দেখি, দশটি হাতের আলিঙ্গন,
শান্তি চাই মা, সবার তরে, এক কাতারে, এক ভুবন।
হানাহানি, রক্ত-গঙ্গা, ধূয়ে যাবে তোমা পরশে,
জয় মা তুমি, ধন্য তুমি, দাও মা ভরে কলসে।


১০/১১/২০১৫