অন্ধকার রাতের নিবু নিবু কুপির আলোয়
কেরোসিনের দম ফুরিয়ে আসে!
মশাদের আনাগোনায় বাড়ে রাত
ঝিঁ ঝিঁ পোকারা খুঁজে ফেরে
বস্তির ডিজিটাল জীবন কত উত্তরাধুনিক!
ভাঙ্গা বেড়ার ফাঁকে নিয়নের উঁকি-ঝুকি
ঘরের মেঝেতে ছেঁড়া পেটিকোটের আতাবেড়া
এক পাশের অবহেলিত শিশুর কান্না
আর অন্য পাশে বস্তির ফিস ফিস ভালোবাসা!
টালিগঞ্জ কিংবা এফডিসির ডিজিটাল নির্মাণ।


এ থেকে আরেকটু উপরে গেলেই
সাধ্যের বাইরে কিছু অসাধ্য আরাধনা!
কান্নার ঘেন্না ঠেকাতে মুখে নয়
হাতে গুজে দেয়া টেবল্যাট,
হাতের স্পর্শে চলে খেলা,
খেলা থেকে খেলা, আর খেলতে বড় হওয়া
এব্ং ঘোলা জলে নাইতে নামা!
ডিজিটাল পানি, কে না জানি? আহ কি হানি!


এরেকটু উপরে ডিজিটাল ফার্ম,
বারো মেসে শীতল গাড়ির বদ্ধ ঘরে,
আইফোন, আইপ্যাডে ঘর্ষণে তালু রেখার নির্বাসন,
ফাঁকা বাড়ির আঙ্গিনায় পড়ে থাকা নিষিদ্ধ বড়ির খোসা,
তোষকের ভাজে আদিম উন্মাদনা,
ল্যাপটপের নিষিদ্ধ গহীনে অবাদ বিচরণে-
আগামী দিনের একগুচ্ছ আফুটন্ত গোলাপ।


ডিজিটাল বিশ্ব চলে এগিয়ে,
ডিজিটাল তালে নাচে মানবকূল,
শুধু পিছিনের গল্পটা পিছনেই থেকে যায়,
ডিজিটাল সময়ে কেবল লোক বদলায়।


০৫/১৮/২০১৫