কবির পকেটে জোছনা রাতের আলো-
হাতের আয়ু রেখায় কালির নির্ঘুম দিবা-স্বপ্ন
হাত বাড়ালেই ছোঁয়া অসীমের ত্রিসীমানা
অন্ধকারে খসে পড়ে জোছনা মাখা আলো!
ক্ষুধিত-পিপাষিত জ্ঞানের আলো।


বাসভূমের উত্তর কিংবা দক্ষিণ মেরুতে-
অচেনা-অজানা মানুষের দম্ভিত ধ্বনি
ত্রস্ত কবির আঙ্গুলের ডগায় সুনামীর নৃত্য
অসহায় সন্তানের ভীত-উত্সুক চোখ
কবিতার পরতে পরতে দুঃখের পংতিমালা
আত্মচেতনে গলায় ফাঁসের দড়িতে
এক চিলতে আশার ধুম্রজাল!
গির্জার মাতা মেরীর শূন্য হাতে
কবি কাঁদে শেষ বেঞ্চির আঙ্গিনায়!


বয়েসের ছাপে কপালের বলিরেখা
চুলের শুভ্র রঙ্গের দাপাদাপি
পাল্লা দিয়ে ছুটে চলে দানব পাগলা হাতি!
কবি ভাবে না, কবি দেখে না
হাতের মুঠোয় পকেটের জোছনার আলো,
আশারা তামাশার ক্ষুধায় পান করে জোছনা!
ঘরের এক কোনে ভাঙ্গা চেয়ারে
কবির কাঁটে রাত কাব্যিক জোছনায়!


০৫/১০/২০১৫