(বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে)


একটি শিশু জন্ম নিয়েছিলো, সোনালী সকালের ভাজে,
দুপুরের ক্ষণে ক্ষুব্ধ নয়নে, জ্বলে উঠা তীব্র তেজে।
সবুজের বুকে চিরচেনা মুখ, দাবি-দাওয়া হাতিয়ার,
কে দেখাবে তারে বদ্ধ দুয়ারে, কে হবে দেশ অবতার?
দেশে পরাধীনতা, দিকে দিকে শুন্যতা, ভয়ে সবে জড়োসড়ো!
আমার ফসল কেঁটে নিয়ে যায় ঐ, ক্ষুধা-কষ্ট লাগে বড়।


মুখের ভাষায় থাবা মারে ওরা, কেড়ে নেয় নব প্রাণ,
আসছে ভবে, মুক্ত বিহঙ্গে, শোনাবে সে মুক্তির গান।
দিকে দিকে সবে দেখে চেয়ে নীরবে, বেড়ে উঠে বুকে বল,
একটি কান্না হুশিয়ারী বেশে, থামাবে কান্না আর কোলাহল।
আকাশে-বাতাসে জয়োধ্বনি শুনি, দিকে দিকে জয়োরব,
পদ্মা জলে ডুবে নাশ হয়, অত্যাচারী আর কুশিলব।


কলের চাকায় প্রাণ ফিরে পায়, কৃষকের মাঠে হাল,
উজান গাঙ্গে প্রাণ খুলে গায়, উড়ায়ে রঙ্গিন পাল।
ভয় কি বন্ধু, আসুক না শত্রু, গর্জে উঠো বারে বার,
তমসার আগেই খরস্রোতা নদী, দিতে হবে বন্ধু পার।
মেঘের পরে নব রবি রবে, হোক না উত্তাল সিন্ধু!
এসে গেছে ভবে, মুক্তিদায়ী, পিতা সেজে বঙ্গবন্ধু।


০৩/১৬/২০১৫