তখন আকাশে জোছনা মাখা মেঘের আনাগোনা ছিলো,
তোমাকে নিয়ে অচিনপুরে ঘর বাঁধার
আশায়, এতটা পথ আমাদের পাড়ি দিতে হলো;
খানিকটা পথ পায়ে হেঁটে, তন্দ্রাচ্ছন্ন আকাশের ক'ফোটা
জলের নিঃশ্বাস আমাকে বিমোহিত করে তুলে।
আমি হাত বাড়াই অচেনার দিকে,
আকাশের এক ঝলক আলোর চমক
সব কিছু  অচেনাই থেকে যায়।


চিঠির কী ভাগ্য! এক ডাক টিকিটের বদৌলতে
ঘুরে বেড়ায় পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত;
অবাক হয়ে ডাক হরকরা পড়ি;
ছেলে বেলায় দার্জিলিং দেখার প্রত্যাশায়,
কপালে ব্যবহার করা ডাক টিকিট লাগিয়ে ঘুরেছি পাড়াময়,
ছুটেছি সন্ধ্যে অবধি হরি দাসের বনে; ঘুরে ফিরে আবার ঘরে ফেরা।
পৃথিবীটা যে গোল।
ভূগোলের শিক্ষক নারায়ন স্যার তাই বুঝাতে গিয়ে
শ্লেটে চক খোয়াতেন। আমরা ভাবতাম ভিন্ন কথা!


ম্যানহ্যাটেনের ব্যস্ত রাস্তায় খালি পায়ে হাঁটতে পারিনি
অনভ্যস্ত জীবনের জন্যে,
যে পায়ে সোঁদা মাটির গন্ধে ভরা,
কি করে সে হ্যানিক্যান বা করুণার নির্যাস
নিবে বুকে? কি করে আলিঙ্গন করবে মাদকতা?
উন্মুক্ত জীবনের ছবিটা, হিসেব-নিকাশের খাতায়
বড়ই বেমানান লাগে, এ বড় অর্থহীন!
সময়কে মানে না সময়, দিনকে মানে না দিন;
চেনাকে মানে না চেনা!


অদ্ভূত!
পৃথিবীর রংটা বদলায় প্রতিদিন;
বদলায় যেমন আমাদের আবেগের রং!