কে যেন রাতে আসে, বসে আমার ঘুমের পাশে  
গায়ে হাত বুলিয়ে যায়
ডুবে যাই স্বপ্নের নিরুদেশ্যে
সহসা উঠি চমকে  ধরতে যাই
হাত ফসকে  পালায় সে।

তার গার গন্ধ এখনো আমার ঠোটে-নাকে -মুখে  
আমি তাকে দেখেছি অনুভবে  সে এক অপরুপা  নারী.
খোলা চুল আঁচল লুটানো পথে ,  গোলাপী আঙুল তার
আঠারোর অবাধ্য যৌবন মাখা সারা শরীরে  
এক সুন্দর অস্পষ্ট দারুন রূপ।
সে থাকে সবসময় আমার পাসে -সামনে পেছনে আসে -পাসে
কখনো মাথা রেখে কোলে শোয়ে।  
তার নূপুর শুনেছি খিড়কি দুয়ারে মাঝরাতে ,
তার নরম ঠোঁটে  কি যেন এঁকে যায় আমার বুকে,
তলপেট হয়ে- ঘুরেফিরে সারা উলঙ্গ শরীরে।
সে কি আমায় ভালবাসে .........?
তবে সে কে--? চায় না কেন ধরা দিতে,
তবে কি মৃত্যু এসেছে-- আমার দুয়ারে প্রিয়ার বেশে।  
মৃত্যু। .......তুমি  না ..না  
সে যে ভয়।  
এই ভাবে গেল ক -দিন  
তার সাথে কথা কই হাসি কতকি।
যে মৃত্যুর কথা শুনলে প্রাণ ভয়ে ছট পট করত -এখন আর ভয় -ডর নেই।
মৃত্যু যেন অতি পরিচিত প্রিয়জনের মতো হয়ে উঠছে ।  
আমি যেন তার হাতের পুতুল -  শিরদাড়া হীন তেজ -বীর্য হীন এক  পিন্ড মাংস  
শেকড় শুদ্ধ উপড়ানো গাছের অসহায় আত্ম্-সমর্পণ।
ও গো মৃত্যু তুমি এসেছ, ভালো হয়েছে প্রিয়া ,
না হলে নিজেই যেতাম তোমার কাছে জীবনের জ্বালা জুড়াতে।
চলো প্রিয়া আজ এই শুক্লা তিথীর রাতে  তুমি জড়িয়ে ধরে আমাকে।
সেই কলেজের স্বার্থপর প্রিমিকার মতো দিও না আর  ছেড়ে
মাঝ রাতে।
মাঝ পথে।।
..................