আজ ঘুম চোখে সাহিত্য সৃষ্ঠি হবে না
                অনুভূতি কম, মাথায় গরম ভাব
আজ ঘুম চোখে ভাষার মায়াজাল তৈরী হবে না
                    ভাষা নেই, মাথায় গরম ভাব।
সমাজ ক্ষুধার্ত, কেউ প্রেমে তো কেউ ক্ষুধায়
তবুও তারা স্বীকার করে না তারা ক্ষুধার্ত
সভ্যতার বশে, অথচো প্রেমিকা বা ভালো খাবার পেলে
   সুযোগে লুফে নেয়, সঙ্গে দু'চারটে পকেটেও ভরে।
সমাজ ক্ষুধার্ত সন্মানের আশায়
   তাই সন্মান খোয়ানোর ভয়ে
সমাজের প্রাণী আশ্রয় নেয় নিয়ম-এর বই এ,
আর সুযোগে নিজের মান আকড়ে ধরে
বড় ভাব প্রয়োগ করে অন্যের থেকেও কিছুটা সন্মানের ভাগ চায়;
             তাই আমার মতে সমাজ ক্ষুধার্ত।


আজ বৃষ্টি কমেছে, তাই মনে ভয়
পাছে কাল বৃষ্টি পড়লে প্রেমিকার দেখা না হয়!
          কত বাহানা! শেষ নেই
আসলে মায়ের কথার বাধ্য হওয়া
আসলে আদর্শে প্রভাবিত হওয়া
আসলে প্রেমের মাঝে হয় তো তাঁর কাছে প্রেমিকের কথাটাই মনে আসে না।
বিশ্বাস কর, শুধু তুই না, সমগ্ৰ শর্তযুক্ত প্রেমের বিরুদ্ধে আমার অভিযোগ;
রাগ হতে বাধ্য তোরা আমার কথায়
তবে বলি কী আদর্শের ভিত্তিতে ভালোবাসা যায় না
                      প্রেমের মাঝে আদর্শ চাই।


মা'কে বলতে পারিনা, তবে দাবি আমার
কিছুটা মদ্যপানে আমাদের ছার দেওয়া হোক
কারণ আমি বেশ্যালয়ে যাইনি ও যেতেও চাইনি
         যদিও তাঁর ঠোঁটে ঠোঁট রেখেছি
        আমি বাইরে মাংসের গন্ধে ভুলিনি
     তবে তাঁর ঘাম ও চামড়ার গন্ধে ভুলেছি।
আজ প্রথাগত সমাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ
আমাদের ভালোবাসার কিছুটা কামুকতা মেনে নেওয়া হোক।


আজ পরকীয়া প্রেম শিঁখড় চুড়ায়, ব্যাপারটা ওখানেই
আজ পুরোনো ভালোবাসায় জোর নেই
তাই নতুন ভালোবাসার খোঁজে ভাষার মাঝে নগ্নতা
অন্যের সাথে শুরু হয় প্রেম, পরে আসে সমাজ ও সন্মানের দোহাই
           কমে আসে ভালোবাসা, ভেবেছেন কী তারা
                     অপর ব্যক্তিটির কী হবে?


                 আজ সমাজ-
            সমাজ কে বা কারা?
ব্যক্তি-সমষ্ঠির বাইরে আর সমাজ কই?
প্রথার বিরুদ্ধে কাজই সমাজ বিরুদ্ধ।
তবে আমি মেয়ে হতে গিয়ে ছেলে হয়ে যাইনি
   আমি তাঁকে ভুল করে ভালোবাসিনি
তাই প্রেমের বিরুদ্ধ সমাজের বাঁধা মানতে আমি বাধ্য নই।
সমাজ মেনে চলতে হয়-
আসলে ব্যক্তি তার প্রাধান্য বিস্তারে আগ্ৰহী
তবে রক্তদান শিবির হলে কোন আপত্তি নেই
তবে সাজের ভয়ে আমি ভূঁতের সাথে বন্ধুত্ব বাদ দেবনা,
আমি সমাজের জন্য তাঁকে ছাড়তে পারবো না;
আজ বিড়ালের কান্না ভূঁতের মতন মনে হয়।
সমাজ কে বা কারা? আজ সমাজ মাছ খাওয়া ছেড়ে
অন্যের জন্য দুটো টাকা দিতে চাইনি
অথচো বঞ্চিতের প্রতি করুণ মুখে তাঁকিয়ে নিজের মাংস মাখা হাত চেঁটেছে।
আজ সমাজ কে বা কারা?
সমাজ তারাই যারা রাস্তা থেকে খাবার কুঁড়িয়ে খায়
সমাজ তারাই যারা মানুষের বাড়ি রেঁধে দেয়
সমাজ তারাই যারা আমাদের বাড়ির পায়খানা সাফাই করে গেল গত রোববার।
ভালো ব্যক্তি তাঁদের হাতে 'নীচু জাত' উপাধি দিয়ে
নিজেকে সমাজ বলে সমাজ হয়েছে
ভালো ব্যক্তি শোষণ ব্যবস্থা ভদ্র ও উন্নত করে
নিজেকে উন্নত করেছে।
আজ আমার অভিযোগ নিজের বিরুদ্ধে
আমার মাঝে এখনও অনেক খারাপ,
যুক্তিহীন সমাজের প্রতি আমার দাবি
আমাকে ভালো হতে সাহায্য করা হোক
আমাকে মেকি সন্মানের সভ্যতা থেকে বঞ্চিত করা হোক।