মৃত্যু কে প্রথম যেদিন ,করিয়াছি অনুধাবন
সে দিনই দাদু আমার তারে করিয়াছিল  বরণ


সকাল থেকে দাদু জানি কি করিয়া ফিরিছে স্মরণ
সকলের কাজে সকাল থেকে করিয়াছে শুধু বারণ


পাশের বাড়ী বনিয়াধি ঘরে বড় ঝি নুর জাহান
তাহারে ডাকিতে দাদু যে মোরে ইশারায় করিয়াছে ভান
আসন ছাড়িয়া দৌড়ের সাধ পড়িলাম ঝি,র উঠান
দুয়ার হতে দৌড়ে আসিয়া কি হইল মোর বাজান
দাদু তাহারে দেখিতে চাহিছে, ঐ শোনা যায় আযান
ঝি আমার উড়িয়া ছুটিল ,মুখে কহিয়া বাজান


সকলি তখন ছুটিয়া ফিরিল শুনিয়া শোকের শান
কে আমারে টানিয়া তুলিবে?কে রহিয়াছে শোক ব্যতিত প্রাণ।


মহান খোদা রহম করে তিনিই মেহেরবান।
উঠিয়া আমি ছুটিয়া চলি, মোর বাজান আছে যেথান
গিয়াই দেখি বাজান আমার ব্যথায়  ধরেছে পরান
কহিলাম তারে দাদুর যে মোর ,কি হয়েছে ভান
এবার তারে দেখিতে চাহিলে বাড়ী ফিরিয়া যান


বাজান যে মোর ছুটিয়া চলিল ,ফেলিয়া হস্তের পান
আমি পিছে ছুটিয়া চলি, বাড়ী পাতিয়া কান
আসিয়া দেখি সবাই গাইছে পাক কালামের গান
দাদু যে মোর মধ্য মণি সঁপিয়া গেছে প্রাণ
দু চোখ বাহিয়া অশ্রু নামিয়া  বইছে শোকের বান
অশ্রুজলে ভাসিয়া  বেড়ায় যাদুর মহা প্রয়াণ
এ আসিয়া ও আসিয়া হাঁকিছে  শত বয়ান
যাদু আমার কেমন ছিল করিছে তাহার প্রমাণ।


উত্তর থেকে কে জানি আসি, হাকিঁল কহিয়া বাজান
চাহিয়া দেখি ছোট ঝি মোর কাঁদিয়া ছাড়ে পরান
খানেক পরে আসিল যাদুর ভাতিজি আদবান
হামাগুড়ি দিয়া কাদিঁয়া ভিজাল যাদুর বাড়ির উঠান


কাঁদিয়া কাঁদিয়া  ফুরিয়ে আসিল আমার চোখের বান
কে যেন দেখি আসিতেছে নিয়ে ,জগৎ শোকের শান
যাদুর স্নেহের অনুজ ছোট নওশের আলিজান
বৃদ্ধ তাহার চোখের কোণে শেষ হারানোর চানঁ


এমন করিয়া হাজার জনে রুচি সাঁঝের বয়ান
আট বেয়ারা পালকী মাঝে যাদু আমার শোয়ান
সবে মিলে গাহিছে শুনি পাক কালামের গান
এরি মাঝে কাঁদিয়া উঠে বিস্ফোরিত প্রান


  সবে মিলিয়া সামনে রাখি পড়ি খোদার শান্
সাদা কাফনে মুড়িয়ে ছিল যাদুর শূন্য প্রাণ
আপন হাতে গাড়িয়া দিলাম যাদুর চাদঁ বদন
সেই হাত খানা শূন্যে তুলি করিতেছি ক্রন্দন
রাহীম রহমান মালিক তুমি করবে মেহেরবান
অশ্রুনদী বাহিয়া তোমায় করতেছি আহবান


মৃত্যু তুমি সকল প্রাণীরে করিয়াছ দান
মৃত্যু ব্যতীত যায়না বুঝা তোমার স্নেহের দান।