এইযুগের প্রেম


প্রেম আজ  হাস্য রসিকতার নিয়েছে রূপ,
দন্ত না উঠা ছেলেটা ও বলে তোমাকে ভালোবাসি খুব।
আসিয়া এই যুগে দেখিলাম কতো কী,
লোকে এখন প্রেমের কথা শুনিলে করে ছি ছি।


প্রেমের কথা শুনিলে বুড়া মিয়া খিল খিল করে হাসে,
উনাকে ও নাকি এই বয়সে অনেক রমনী ভালোবাসে,
শুনিয়া এই কাহিনি করিলাম হায় হায়,
লুঙ্গি না পড়তে পারা ছেলেটা নাকি প্রিয়সীর সাথে পার্কে যায়।


আসিলো কি সময় ভাবিয়া মরি,
দীঘির জলে ভাসে নাকি প্রেমিক প্রেমিকার তরী।
কাটিয়া হস্ত লেখিয়া নাম,
দিচ্ছে নাকি তারা ভালোবাসার প্রমান।


মায়ের অগোচরে করিয়া ফিসফিস,
সামান্য ঝগড়ায় প্রেম হয় ডিসমিস।
দুইদিন ঘুরিয়া পিছে বলে ভালোবাসি তোমাকে আমি,
কি আজব কান্ড বিয়া ছাড়াই একে অপরকে ডাকে স্ত্রী, স্বামী।


ন্যাকামি দেখিলে গা যায় জলিয়া,
তাহাদের জন্য প্রেমের মর্যাদা গেছে উতুলে তলাইয়া।
বাপের টাকা করিয়া চুরি বেচিয়া বৃক্ষের সুপারি,
প্রেমিকাকে উপহার করে চুড়ি আলতা শাড়ি।


যেখানে যাই সেখানে তাহাদের আবেগী প্রেম লিলা দেখিতে পাই,
ছবি ঝুলিয়ে রাখে দু'জন দু'জনের লকেটে বাধিয়া গলায়।।
কতো ভাবে করে তারা প্রেমের কথপোকথন,
নোংরা কথা নাকি এখন প্রেমের প্যাশন।


লাইলি মজনু, শিরিন ফরহাদ যদি এই যুগের হতো,
তাহারা ও হয়তো করিতো প্রেম এই যুগের মতো।।
এই যুগে বিচ্ছেদের যন্ত্রনা নাকি
নিকটিনে আর কষ্টের গানে মিটে,
কেও আবার প্রেমের টানে ছেড়ে যায়
নিজ আপন মাতৃ ভিটে।


কেও হইয়া অতি আবেগী ঝুলাইয়া দড়ি,
আত্মহত্যা করিয়া লেখিয়া যায় আবার সরি।
কি বলিবো এই প্রেম কাহিনির কথা,
প্রেমিক প্রেমিকা কে বলে তুমি আমার প্রেম লতা।


সকালে উঠিয়া করিয়া দন্ত ব্রাশ,
পথে দাড়াইয়া যুবক খায় রমনীর উপর ক্রাশ,
কতো রঙ্গের দিয়া আশ্বাস,
কয়দিন পর প্রাপ্তির খাতায় থাকে
শুধু কানা ওয়ালা বাশ।।