তুমি আমার চির জীবনের বিস্তর আক্ষেপ,
তোমায় নিয়ে ঘর বাধি স্বপ্নে!
তুমি ঠিক যেনো আমার প্রাণের মতো,
মিশে আছ প্রতি রন্ধ্রে।
তুমি ভোরের শিউলি, ঢোল কলমী, তুমি ভৃঙ্গরাজ।
হৃদয়ের মন্দিরে দিয়েছি ঠাঁই, দিয়েছি দেবীর সাজ।
তোমার আরতি করি দিবা-নিশি, দিয়ে পূজার ফুল,
তোমার ভাবনাতে কবেই ভাসিয়েছি জাত-কূল!
বারেবারে ছুটে এসে চেয়েছি একটুকু ঠাই,
সকলি আছে মোর তবু যেনো কিছু নাই!
তুমি আমার গোপন ব্যথা!
কেমনে প্রাকাশি কব তা?
হৃদয়ের সাথে পুড়ে যায় প্রতি অঙ্গ,
চারিদিকে কোলাহল তবু হঠাৎ লাগে নিঃসঙ্গ।
হৃদয় ভেঙে যায় বোঝাতে নাহি পারি!
একলা আমি দুহাত দিয়ে আকড়ে কত ধরি?
তুমি যেনো মোর বল্কল হয়ে মিশে আছ শরীরে
তবু গোপন তুমি ভীষণ গোপন হৃদয়ের গভীরে!
তুমি আমার যত কবিতা,আমার সকল গান,
কেমনে বোঝাই তোমার তরে কত কাঁদে এই প্রাণ!
তোমার কোমল বাহুর একটি দৃঢ় আলিঙ্গনের অপেক্ষায়
কেটে যায় আমার লক্ষ বছর!
আমি চাতকের মতো বসে থাকি শুধু একবার ছোবো বলে তোমার গোলাপী অধর।