স্রোতস্বীনি স্রোতস্বীনি, নদীর মতো মেয়ে
ও মাঝি তুমি মাঝ নদীতে যাবে তারে নিয়ে?
পাখির সাথে উড়ে উড়ে গান গেয়ে সে বেড়ায়,
ফুলের মতোই চারিদিকে সুবাস যে তার ছড়ায়।
প্রজাপতির মতোই যে তার রঙবেরঙের ছটা,
গোলাপ ফুলের মতোই তারে সামলে রাখে কাঁটা।
ঢোল কলমীর বনেতে সে ভ্রমর হয়ে ওড়ে,
বুনো টিয়ার গান শুনে যে হৃদয় তাহার ভরে।
সে যে ভৃঙ্গরাজের রাজকুমারী মাথায় মুকুট দিয়ে,
লজ্জাবতীর মতোই আবার অভিমানে পরে নুইয়ে।
শিমুল লালে রাঙায় ঠোঁট, রক্ত জবায় পা;
কদম ফুলের গয়না বানায়, পদ্ম বসনা গা।
দিনগুলো তার যায় যে কেটে নীল যমুনার বাঁকে,
রাধার মতোই কালার তরে পথ চেয়ে সে থাকে।


এবার মাঝি পাল উড়িয়ে ভাসাও তোমার নাও,
অজানায় তারে তবে ভাসিয়ে নিয়ে যাও।
শক্ত করে নাইয়া তুমি ধরে রেখো তারে,
উথাল পাথাল ঢেউয়ের তোড়ে সে যেনো না ডরে।
অভিমানী স্রোতস্বিনীর ফোটে নাতো মুখ,
জানতে তুমি পারবে নাতো পায় যদি সে দুখ।
তুমি শুধু একটুখানি আগলে রেখো তারে,
যতন করে সামলে রেখো তোমার বাহুডোরে।
ভাসতে ভাসতে পথ হারালে নেইতো বেশি ভাবনা,
স্রোতস্বীনি এই জীবনে বেশি কিছুই চায় না।
খুঁজে যদি পাও তুমি অজানা কোনো চর,
সেথায় নাহয় বেঁধে ফেলো দুজন মিলে ঘর।
শ্যাম কালিয়ার বাঁশির সুরে মনটি ভরে থাক,
এমনি করেই রাই সুন্দরীর জীবন কেটে যাক।