গোলাপের পাপড়ির মতো প্রিয়তমার অধর,
কস্তুরী মৃগনাভির ঘ্রাণ জুড়ে আছে সারা অঙ্গ!
প্রতিক্ষায় কাটে মোর সারাটি প্রহর।
বাতাসে বাজে যেনো বিরহী মৃদঙ্গ।
হরিনীর মতন কাজল টানা আঁখি ;
কনীনিকা ঝমকায় তার কত না রঙের বাহারে!
বেঘোরে তাকিয়ে দেখি,
কি মায়া আহারে! বিবশ করে রাখে আমারে।
বুভুক্ষু, তৃষিত প্রাণে জাগে গভীর প্রণয়।
বান ডেকে ভেসে যায় দরিয়া,
শত জন্মের পিপাশায় কাতর হৃদয়।
শুধু একবার স্পর্শের লাগি মরিয়া,


ইচ্ছে করে সাজাই তারে বেধে মন পিঞ্জরে!
সরু বাহু। জড়ায়ে দেই বাজুবন্ধে,
হাত দুখানা ভরুক রতনচূরে,
কঙ্কনের রিনকঝিনিক আর
মাদল উঠুক মঞ্জীরে।
বুকেতে ধরে আলতায় রাঙাই তার চরণখানি।
চিকন কটিতে পরাই কিঞ্চিনি,
অঙ্গুরী ভরে চুনি, পান্না আর নীলকান্তমণি।
সাতনরী হার কন্ঠেতো কেবল তারই মানায়,
হৃদয়ের মন্দিরে দেবীর আসনে যারে দিয়েছি ঠাই।