প্রিয় _,


আমার প্রিয় _।
দুই সহস্র বছর দেখিনি তোমায়।
সাহস সঞ্চয় করতে পারিনি তোমার সামনে যাবার।
কোন মুখে দাড়াতাম তোমার সামনে?
যখন তুমি আমাকে জিজ্ঞেস করতে!
কি কৈফিয়ত দিতাম?
তুমি যখন জানতে চাইতে এই শিখিয়েছি?
কি জবাব দিতাম বলো তো!
লজ্জায়, দ্বিধায় তোমার থেকে লুকিয়ে বেঁচে আছি অনেক বছর _।
আসলে কি বেঁচে আছি?
এ কেমন বেঁচে থাকা?!
_
মনে আছে তোমার?
যখন মন খারাপ হলে আমি কাঁদতাম,
তুমিও কাঁদতে আমার সাথে!
কি হয়েছে না বলা পর্যন্ত!
আমার পাশে শুয়ে তোমার বুকের মধ্যে টেনে নিয়ে পাখির ছানার মতো আদর করতে আর বলতে,
তুই কাঁদলে আমি সহ্য করতে পারি না।
তুই যেনো আমার সবার থেকে আলাদা!
এই ভুবনে এতো মানুষ আছে। আমার আরও ৪ খানা _ আছে।
তবু তুই সবার মাঝে আলাদা।
তোর চোখের পানি আমি সহ্য করতে পরি না।
আমি তখন তোমাকে জাপটে ধরে কেঁদে-কেটে শান্ত হতাম, তোমার বুকের মাঝে।
_, আমার আজ আবারো মন খারাপ হয়েছে।
আজকাল প্রায় সবসময়ই ভীষণ মন খারাপ থাকে।
কিন্তু কেউ তোমার মতো করে জানতে চায় না।
কেউ আর বুকের মধ্যে নিয়ে আদর করে না।
আমি আর ছোট্তটি নেই যে।!
আমি বড় হয়েছি। ভীষণ রকম বড় হয়েছি।
আর তাই ভুলগুলোও বড় বড় করতে শিখেছি।
শুধরে দেবার কেউ নেই যে!
কেউতো হাতটা রাখে না মাথায় বা কাঁধে।
এই এত বড় পৃথিবীতে...
নিজের স্বার্থেই সবাই আসে _।
প্রতিটি মানুষ নিজেকে চারিদিকে মিথ্যের বেষ্টনী দিয়ে ঘিরে রেখেছে যেন!
আমি ভীষণ বেমানান এখানে।


আমায় আরেকবার আদর করে কাছে টেনে নেবে তুমি?
তুমি ছাড়াতো কেউ কোনদিন বোঝেনি আমায়!
_ আরও একবার তুমি বুঝবে আমায়?
বলো না! ক্ষমা করে দেবে না আমায়?
আর কতদিন তোমার থেকে লুকিয়ে থাকব _?
আমি আবার তোমার সামনে গিয়ে দাড়াতে চাই।