কোন এক বসন্তে
তুমি পলাশ হয়ে এসেছিলে।
হয়তো শিমুল এমন লাল বলে;
ক্ষণিক আমায় রাঙিয়েছিলে।
ক্ষনকালের অতিথি হয়ে জীবনে এসেছিলে তুমি।
তারপর বসন্ত ফুরিয়ে গেলে-
হঠাৎ পাতা ঝড়া শীত!
বর্তমান হয়ে গেলো সুদূর অতীত ।
সবুজ পাতারা সব গেলো ঝরে,
মিলিয়ে গেলো সব রঙ কুয়াশা ঢাকা ভোরে।
বসন্তের বিহঙ্গ উড়ে গিয়ে পরিযায়ী এসেছে।
আমি দেখলাম সময় উল্টো দিকে বয়ে চলেছে।
যা যা বলেছিলে সব মিথ্যে হয়ে গেল,
সব সমীকরণ বদলে গেল হঠাৎ !
তোমার দেয়া কোনো কথাই তুমি রাখলে না।
সবই নাকি ছিল তোমার ভুল,
মুহুর্তের আবেগ, খেয়াল!


রাখবে না যখন ধরে চিরদিন অন্তরে,
ক্ষনিক এসে কেনো মিশে গেলে তবে এ পরানের গভীরে?
কেনো ছিড়ে নিলে হৃদয়ের তাজা ফুল?
কেনো ভাসালে জাত-কূল?
জানি জবাব নেই তোমার কাছে...
ধরা পরে যাও পাছে!!


জানি না মানুষ ভালোবেসে কি পায়!
আজ মরুভূমি হয়ে গেছে হৃদয়
কলিজা গিয়েছে শুকিয়ে খরখরে কাঠের মতন
সেখানে আর নেই বসন্তের সে সজীবতা আগে ছিল যেমন!
ভালোবেসে কেউ হয়তো হয় মহান
তবে কেউ কেউ হয় ধ্বংস।
নিঃশেষ হয়, সর্বস্ব হারায়!
আমি তাদেরই একজন।