জানিনা হৃদয় কি চায়,
কবে তা হারিয়েছে কোথায়!
সেই থেকে বয়ে চলে এ ভার অসীম যন্ত্রণায়।
ভরা ভাদর, তবু  মৃত্তিকা মরু তৃষ্ণায়!


দিনান্তে পাখীরা নীড়ে ফিরে যায়,
গুণটেনে মাঝিরাও ফিরে আসে তীরে।
মার্তন্ড বিলীন হয় সিন্ধু অথবা শৈলর অতলে,
রজনীকান্ত লুকায় গিয়ে কাদম্বিনীর অন্তরালে।
টিমটিম করে জ্বলা মশালের বাতি
দোল খেয়ে নিভে যায় বাতাসের ঝাপটায়।
তবু ক্লান্ত প্রাণ ছুটে ফেরে অজানায়!


মন কোথায় ফেলে এসেছে তারে?
সুন্দরবনের পাশ ঘেঁষে জেগে ওঠা কোনো চরে?
নাকি কাজলা নদীতে বা রুপসার জলে?
রাস্তার পাশে কোনো কুঠুরিতে বা কোনো শ্বেত মহলে?
বাবলার কোটরে কাঠঠোকরার মতো সেকি আছে লুকিয়ে?
নাকি বুড়ো বটের টকটকে ফলের আঘ্রাণ হয়ে মিশে আছে বাতাসে?
হয়তো কোনো কোমল স্পর্শের অপেক্ষায় সে জমে আছে ভোরের শিশির বিন্দু হয়ে!
নাহয় পথের ধারে অচেনা বুনো ফুল হয়ে আছে পথ চেয়ে!
সেকি পথ হারিয়েছে কোনো খোয়া ঢালা রাস্তায়?
নাকি মরা নদী পার হতে গিয়ে ডুবে গেছে চরের কাদায়?
হয়তো অচেনা কোনো নক্ষত্র হয়ে মিশে গেছে সুদূর আসমানে!
হয়তো কবেই দাহ হয়েছে নদী তীরের প্রাচীন কোনো শ্মশানে!


খুঁজে ফিরে ক্লান্ত এ হৃদয় হঠাৎ প্রশ্ন করে নিজেকে;-
"খুঁজছি যাকে আদৌ কি হারিয়েছি?
নাকি না পাওয়া এক প্রেম নিরর্থকই খুঁজিতেছি"!