এর চেয়ে ঢের ভালো আমাদের আর দেখা হবে না।
হ্যা আমরা একই পৃথিবীতে থাকবো। কিন্তু ;
কিন্তু আমাদের আর দেখা হবে না।
বেপরোয়াভাবে যদি তোমার বাহু খামচে দিতে ইচ্ছে করে খুব!
তাও দেওয়া হবে না।
এই শহরে বৃষ্টি হবে, তুফান হবে, সাইক্লোন হবে।
তবু আমাদের আর দেখা হবে না।
এই শহরে চাঁদ উঠবে, ভরা পুর্নিমায় উন্মাদ হবে প্রণয়ী যুগল।
উন্মত্ত প্রেমিকেরা প্রেয়সীর গ্রীবায় এঁকে দেবে গভীর চুম্বন।
তবু আমাদের দেখা হবে না।
যক্ষুনি তোমার কাছে ছুটে যেতে ইচ্ছে হবে-
ঠিক তক্ষুনি মনে পড়ে যাবে;
কি অমর্যাদা আর অসম্মানের ভয়!
গাল ভরে মিথ্যে হাসি এঁকে,
রং করা কাঠের পুতুলের মতো বোবা অভিনয়।
হৃদয়ের লেখাগুলো পড়তে না পারার যন্ত্রণা;
বুঝতে না পারার দহন!  
রোজ কত নোনা জলের বিসর্জন!
অভিযোগের কি এক মহা প্রাচীর!
ভেদ করে সাধ্যি কার?
যে নীল দংশন আমায় নিঃশেষ করেছে বারেবারে,
আমি চাইনে; আমি চাইনে তারে আর বয়ে বেড়াতে।
রোজ রোজ মরার থেকে;
এই ভালো! একবারে ইস্তফা!
তাই আমাদের আর দেখা না হওয়াই ভালো।
এই শহরে কৃষ্ণচূড়া আর রাধাচূড়ায় মাখামাখি হবে।
শিমুলের রক্তে রেঙে উঠবে নীলিমা!
এই শহরে বসন্ত আসবে, শীত আসবে, শরতের মেঘেরা ছুটে বেরাবে সমস্ত আকাশ জুড়ে।
এই শহরে কাশফুলের দিন আসবে।
কিন্তু তোমায় নিয়ে কাশবনে ঘোরার শখ আমার কোনদিন পূর্ণ হবে না।
কখনো একসাথে বসে জোছনা দেখা হবে না আমাদের।
নোনাবালির তীরে হাত ধরে হাটা হবে না।
নীল অন্ধকারে বিরাট পাহারের ওপরে তোমার বাহু জাপটে অসাবধানে বসে থাকা হবে না।
কারণ আমাদের আর দেখা হবে না।


তবে আমি জানি আমার সকল শখই তুমি পূর্ণ করবে। তবে? তবে অন্য কারো সাথে।
তোমার বুকের জমিনের মালিক হবে অন্য কেউ।
সেই জমিনে জোছনার শামিয়ানার তলে ;
তোমায় গান শোনাবে অন্য কেউ।
সুরের মূর্ছনায় বিভোর হবে তুমি।
তুমি শরীরের সমস্ত উষ্ণতা ভাগ করে নেবে তার সাথে।
তোমার জীবনে হয়তো আবার কেউ আসবে!
হয়তো আছে।
তাই আমাদের আর দেখা হবে না।