নতুন বছর নুতুন দেশে আমরা এলাম সবে,
সাব্বিরটা বেশ টেনশনে হায় বাড়ি যাবেন কবে?
ছেলের তরে কইলজা পোড়ে যাবে নাকি বিমান চড়ে,
বাধা দিলাম সবে,
দুই তারিখে বাড়ি যাবো এটাই তবে হবে।


আরো বলি কিছু কথা সাব্বির বন্ধুর তরে
খালা গেল হারিয়ে তাহার থাকে কেমন করে।
মজার ছলে পঁচাই তারে সত্য ভেবোনা কেউ
আমি মারুফ সিংগেল সদা ; যদিও আছে বউ।


বন্ধু মোবারকের বিয়ে এলেম 27 ডিসেম্বরে
একটি বছর হয়ে এলো দূর দেশেতে এসে
এমন করে সবাই আমায় নিলো ভালোবেসে।


এমন করে এমন ভাবে হয়নি এত মজা
ঘুরতে এসে নতুন করে হরেক রকম বোঝা
পেলাম কত অচেনা মুখ আপন করে নিলো
ভালোবাসার ছোঁয়ায় ভেসে সময়গুলো গেলো।


দুলাভাইয়ের কল্পনাতে কল্পনা আপা
এমন সখের ভালোবাসা যায়নারে মাপা,
আঠারো বছর;  হয়নি তাদের একটি নয়ননি
তবুও তার  ভালোবাসা একটু কমেনি।


দোলা আপার ভোলা মনে আনন্দ যে কত
পাঁচটি দিনে হয়ে গেল আপন বোনের মত,
মাখতুম ভাইটি এত মিশুক হয়নি আগে কথা
কেমন করে এত আবেগ হৃদয় করুন ব্যথা।


ছোট্ট দুটি বাবু বন্ধু তাকি নাফিজ  আছে
হঠাৎ করে কেমনে ওরে আমায় নিয়েই বাঁচে।
ফারাসিটা খুব মজা দেয় সুন্দর কথার তালে
শুদ্ধভাষার উচ্চারণে মজার ছন্দ  ঢালে,


জোড়া  ভাইয়ের আদরের বোন...
ওরে জুথি মিস্টি মেয়ে আমার মায়ের মত
কথায় কথায় মিস্টি হাসি দেখি কত শত,
নাইমটা তো বেজায় ভালো অল্প কথা বলে
গতরাতে দারুন শীতে শান্তি আগুন জ্বালে।


সবার প্রিয় পিচ্চি মনি জান্নাতের কি হলো
বাবা মায়ের ভালোবাসা অল্পতে হারালো,
বাবা গেলেন না ফেরাতে, মা যে অনেক দূরে
এত ছোট্ট বাবুটা যে থাকে কেমন করে।


গল্প হলো কম বেশিটা তানজিমেরও বাকে
আর্মি ট্রেনিং দিয়ে এখন নতুন স্বপ্ন আঁকে,
দেখা হলো লতিফটাকে দুর্বলতা মন
অস্পষ্ট তার কথার ভয়েস দেখি সারাক্ষণ।


নিবির গ্রামীন গভীরতায় হারাই বারেবার
এমন করে কখনো কি মজা হবে আর!
গাছগাছালি ফসল ভরা এমন হলুদ মাঠে
মন যে আমার বেড়ায় ছুটে বটতলির ওই হাটে,


দলার দর্গা গিয়েছিলেম সাতাশ তারিখ রাতে
সেদিন বন্ধুর গায়ে হলুদ নিলাম কিছু সাথে
বাড়ি ফিরে করলাম টোকেন আনন্দ খেলা
সবার অংশগ্রহনে হায় জমেছে মেলা,
কেউবা পাগল অভিনয়ে কেউবা কুঁজোবুড়ি
কারো আবার নাচন মাজন কেউ ছিল মাজদুরি,


কারো অভিনয়ে ছিলো অট্টহাসির রোল
মায়া কান্নার অভিনয়ে দর্শক বাজায় ঢোল
কতেক ছিল বেজায় লাজুক কয়নি কথা মুখে
তার মুখেরি কথা আমি কেড়ে নিলাম সুখে।


বাড়ির বড় মুরুব্বিটা দাদি যিনি হন
অযোগ্যতার অভিনয়ে ভেঙে পরে মন
আসলে সে যোগ্য ছিলন যখন ছিল শক্তি
দুর্বল হয়ে এখন তাহার নাই যে কোন উক্তি।


এত হাসির কারবার হলো বাবার অভিনয়ে
ঝাড়ুদারে শাষন করে সব বোনেরে গিয়ে,
সবাই হাসে খিলখিলিয়ে এ কিভাবে হলো
বাবা ও যে সবার সাথে খেলায় অংশ নিলো।


শাহজাহান ভাই বন্ধু সুলভ পাহাড় সম মন
ভাবি আমার সেলিনা নামে কত আপনজন,
কষ্ট করে দিবা রাতে খাবার তৈরি করে
নিজের খাওয়া যেমন তেমন খাওয়ালেন মন ভরে।


হিরামনি ছোট্ট মেয়ে কিউরিয়াসি মন
গল্প কথার ফুলঝুড়িতে হাসে সারাক্ষণ
কিউট মেয়ে শিফাটা ও বেজায় খুশি হাসি
জিনের   গল্প শুনেই হঠাৎ কান্নায় গেল ভাসি


রোমান হাসে হয়না সাউন্ড মায়াবি তার চোখ
মানব মনের অনেক কথা আমার জানা হোক,
রাকিবটাতো ভালোই পারে মজা গুলো নিতে
কথা হলো অনেক বেশী গতকালের শীতে।


আড়াল হয়ে একটু দূরে
তৌহিদ  হাসে চাপা স্বরে,
টানা টানা ভ্রু তাহার ;  মোচ উঠন্ত
সাদা দাতের হাসি যেন মুক্তা পড়ন্ত।


ফুফু কাকির  ভালোবাসায়; ভরে গেল মন
এভাবেই কেটে গেছে আমাদের সারাক্ষণ।
মা যে ছিলেন  ব্যস্ত শুধু কাজে রান্নাঘরে
চুপ চাপ নিরবতায় সে কত কিছু করে,


কবিতা লেখা শেষ হলে ও শেষ হয় না সব
বিল্লাহকে নিয়া লেখাই বাকি হলো অনুভব।
ওরে ছোট ভালো থাকিস সারাজীবন ভর
ভাইরে আমার বউ পেয়ে; করে দিস না পর।


নতুন বধু তিথির তরে সবাই এসেছে
প্রনয় মোবারকের প্রানে প্রান যে বেধেছে,
সুখে সখে ভরে যাবে জামাই বউয়ের মন
আমরা সবাই দোয়া করি ওদের প্রিয়জন।


কিভাবে কি হয়ে গেল সবার মনের মাঝে
ভ্রমন এসে মজা পেলাম সবাই শুধু হাসে,
আমার হৃদয় সুখে ভরা দেই সবারে সুখ
সবার তরে আমি সুখি বিচ্ছেদে ভাসাই বুক।


কেমন করে এমন সুখের গাড়ি গেল থেমে
আবার কবে দেখা হবে হৃদয়  গভীর প্রেমে,
সবার মনের ইচ্ছেগুলো আমার মনে জমা
সবাই আমার ভালোবাসা করে দিও ক্ষমা।