আজও স্মৃতির আকাশে
তুই-ই ভেসে বেড়াস ।
ঘন কুয়াশা ভরা শীতের সকালে
দেখি তোর-ই প্রতিচ্ছবি ।
কি ভরদুপুরের রুদ্দুর
কি অস্তনমিত অপরাহ্ণ,
কিইবা জোছনা শোভিত রাত।
তুই এটা ভাবতে পারিসনা মোটেই
আমার আকাশে তোর প্রতিচ্ছবিটা ফ্যাঁকাসে।
জানিস--
এক অজানা কারনে
তুই আজও জীবন্ত।
এই যে লিখছি--
মনে হচ্ছে কি জানিস,
মনে হচ্ছে লেখাটা পড়ার জন্য
তুই বসে আছিস।
মনটা এমন কেন বলতে পারিস--
পুরোনো, ফ্যাঁকাসে চরিত্র আর পরিস্থিতিগুলো,
এতটা রংচটা করে দেয়।
জানিস--
আজও দিনকে-দিন তোকে চিঠি লিখি।
জানি--
ও-হাত দুটো ছোঁবেনা আমার চিঠি
ছোঁবেনা আমার লেখা প্রতিটি অক্ষর,
খোঁজবেনা প্রতিটা অক্ষরের মর্মার্থ।
জানিস--
আমার না বিশ্বাসই হয় না
তোর চোখ জোড়া পড়তে ভুলে গেছে।
কি বললি ? মানুষ মরে গেলে এমন হয়।
মৃত্যুকে বিশ্বাস করিস তুই ?
ধুর বোকা ! মৃত্যু বলতে কিছু নেইরে।
ঐ-লিখতে-পড়তে ভুলে যায় আরকি
তুই এটাকে মৃত্যু বলতে পারিসনা।
দেশান্তর..........???
হ্যাঁ। দেশান্তর বলতে পারিস।
মজার ব্যাপার কি জানিস--
আগে সামনে দাঁড়িয়ে কথা বললে
তোকে দেখতে পেতাম,
এখন চারদিক ঘেরা বেড়ার সামনে দাঁড়িয়েও
তোকে দেখতে পাই।
হ্যাঁ হ্যাঁ - স্পষ্ট দেখতে পাই।
কেন ? তুই দেখতে পাসনা বুঝি।
তোর হাতে হাত রাখলেই
স্পর্শটা ঠিক বুঝতাম,
এখন সেটা বেশ দূর থেকেই পাই
মাটির সংস্পর্শই তোকে পাইয়ে দেয়।
আমি জানি
তুই কখনোই আমাকে বিশ্বাস করিসনা,
আমার এই কথাটা বিশ্বাস কর--
আমি সত্যি তোকে ভুলে গেছি,
একেবারে ভুলে গেছিরে।