বিয়েটা হঠাৎ-ই হয়েছিলো!
মবিনার প্রাইভেটে যেদিন তার জায়গীর থাকা
প্রাইভেট টিচারের; কুনজর লেগেছিলো, বিয়েটা
ঠিক তার পরদিন ঘটেছিলো।


তড়িঘড়ি এ বিয়েতে তেমন আড়ম্বর ছিলো না, ছিলো না অতিথির সংখ্যাও তেমন।
কাছের কতক মুরুব্বী ঘিরে বসে থাকা; কমলা রঙা
ব্লাউজ আর লাল জুট কাতানে; মবিনা তখন বিয়ের কনে।
স্বামী, সংসার, কিভাবে যে আট বাচ্চার মা সে,
টের পায়নি মোটে!
নাতি তার আজ হাঁটে-  খোলা ওঠানে।


বাওয়ান্নর এই বিগত যৌবনে; হাতে আজ তার
নতুন বেনারসি শাড়ি।
পলাশ শিমুল ফুলের ফাগুণ-লালে; রাঙবে যুবতিরা,
প্রৌঢ়ারা পাতার সবুজে।
তা’কে এত দামী শাড়ি দেয়া কেন?
মবিনা এর উত্তর খোঁজে যেন!


খুব ধীর পায়ে হেঁটে, এগিয়ে এসে
ছেলে তার দাঁড়ায় এক পাশ,
মা গো, এ যে ভাষার জন্য মাস!
বায়ান্নর সেই রক্ত ঝরানো স্মৃতি,  
লাল শাড়িতে তোমায় আমি; ক্যামনে বলো দেখি?
“কালো”- সে তো প্রতিকী শোক, কি করে চাই-
আমার মা সে শোকে বাঁচুক!
মা আমার বেঁচে থাক-;হাজার কোটি বছর...