কাল, ভূমি কেঁপে ওঠেছিল।
কেঁপে ওঠেছিল- তোমার অস্তিত্ব;
ও আমার হৃদপিণ্ড।


বিমূর্ত সেই তুমি
চোখে ছিলে, ছিলে মনেও
আধ বুজা দু'চোখ; ধ্যানে রত।
তপ্ত গাল বেয়ে; বয়ে চলে অশ্রু...
এভাবে কাঁদালে?!
কাঁদলে না কী তুমিও?


মৃত্যু ভয়ে ভীত আড়ষ্ট কণ্ঠ-স্বর
বিড় বিড় করে পড়ছ যখন
আস্তাগফিরুল্লাহ, সুরা ইয়াসিন
জীবন যখন প্রায় নিভু নিভু
পৃথিবীর সেই প্রলয়ের মুখে তবু
কেন মনে পড়ল বলো-
সেই মুখচ্ছবি, আবেগী কথোপকথন?
স্পষ্ট উচ্চারণে, সম্বোধনে ভালোবাসা কেন ডেকে বলে-
"প্রিয়তম", জান আমার! কেমন আছ-"প্রিয়"?!!! ......


কালকের সেই চরম মৃত্যু দিনে
একবার ও কি আসেনি মনে?
তুমি ভুল করে সরে গেছ!
এর পর আসা যত জীবনের মানে
সব মিথ্যে, অপ্রয়োজনীয়।
প্রয়োজনীয় মনে হওয়া আর যত কিছু
যশ, খ্যাতি, ক্ষমতার গদি
যতই দৌড়াও তার, পেছন নিয়ে পিছু
মঞ্চে পাতা বিশেষ আসন
অগুনিত দর্শকের চোখ ছাপিয়ে
কেন দেখ সেই চোখ, অশ্রু-প্রপাত?


কেন আজ তবে অমিত তৃষ্ণায়, যাচনায় কাতর
তোমার কম্পিত অধর?
বার বার করে চেপে ধরে অ-স্পর্শ সেই ঠোঁট, ললাট
এঁকে দিতে চেয়ে সবটুকু হৃদ-কম্পনের ভাষা
কেন আজ এত অধীর?
সেই দুপুর, সকাল, সেই মধ্য রাত!
প্রকম্পিত ভোর আজ; শিহরিত!
শেষ চুম্বনে ......