পুরনো দিনগুলো ঝড়ে পড়ুক শুকনো পাতার মত।
ব্যর্থ দিনের উদ্-যাপন তো রোজই হয়।
আজকে বাঁচার বিশেষ সুবাদে
উড়ে যাক, পুড়ে যাক-
        যত ‘লজ্জা-ঘেন্না-ভয়’।


দুঃখের স্ক্র্যাচে ভর দিয়ে চলা সুখের মর্মরধ্বনি-
শোনায় জীবনের আত্মকথা।
নেশার পাতাবাহার তো রোজ
মাৎসন্যায় প্রথায়ে জেহাদ ঘোষণা করে;
আবার বিলীয়মান রঙের মতো
হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে মিলিয়ে যায়
কখন বা অন্ধকার গায়ে দিয়ে,
        অন্তর্সত্তা অবস্থায়।


আজ না জানি ভাবসাগরে
কত রত্ন-আকরের সন্ধান মেলে।
“দূরাদয়শ্চক্রনিভস্যতন্বী...”-র ফাঁকে ফাঁকে
একটু-আধটু প্রতিবাদ বহ্নি -
জ্বলে উঠলেও আশ্চর্য হব না।
“খেদিয়ে” দেওয়া “রাজদ্রোহী”
আজ রাস্তায় নামলেও বিশ্বাস করব-
         হাত ধরব-
“ধর্মসংস্থাপনার্থে”-
         নিঃস্বার্থে।


বেড়িয়ে পড়ব ঝুলি কাঁধে যাযাবর সেজে-
         দূর দেশে।
মিঠে হাওয়ায় মিছে মাথা দুলিয়ে
গান গাওয়ার অভ্যেস আর নেই।
নজরুল শুধু মাথার ভিতরে ঘুরপাক খায়।
হাল ছাড়ার দুর্ঘটনা দেখতে ব্যস্ত অনেকে
হাল ধরে ঝড়ে ক’জন নামতে চায়?


আসো বন্ধু হাতে হাত ধরি।
সাম্রাজ্যের নিয়ম নীতি না হয়
আজ বন্-ধ ডাকুক।
থাকুক তোমার বর্ডার, ইন্টার্পোল,পাসপোর্ট-ভিসা।
নতুন বছরের আবেগোচ্ছাস ছড়িয়ে দিয়ে-
ভাসুক গোটা বাংলা খুশির জলছ্বাসে
হোক দুয়ে-এক;
         নবজীবনের পূর্বাভাসে।