কফিন বন্দি হয়ে সম্মান পাওয়াটা অনেকটা কবিতার মতো। কবিতা
রচনাকালে অনেকে দাম পায় না। কিন্তু পরে, অনেক পরে সেই কবিতার ভিতরে
মণিমুক্তো খুঁজে পায় সমাজ। পাঠকের দল কবি বেঁচে থাকাকালীন অনেকটাই
পক্ষপাতিত্ব করে, কিন্তু মৃত্যুর পরে তা দাম পায়। কবিতা হচ্ছে আসল। তার সুদ অনেক পড়ে পাওয়া যায়। মানুষ তো চটজলদি উচ্চতা চায়। জীবন তো তা নয়। এটা বুঝতে হবে। এটাই প্ররাসঙ্গিকতা। কবিতা কাল জীবনের থেকে অনেক বড়ো। দুই একটা বিরোধীতা করে নিজেকে সত্যই প্রকাশ করা যায় না। কবিতা যে কতটা কঠিন ও শিকড় যে কোথায় তা সত্যই এই প্রযুক্তিবিদ ও সমাজ পরিচালনার অর্থলোলুপতা বুঝবে না। তার উপর সমাজে কবিতা ও কবি থেকেও বড় কিছু বুদ্ধিজীবী জন্মায়।
কিছু না জেনেও বুদ্ধিজীবীরা সব জানে। আসলে কবিতা তো নির্বোধের
জন্য। হাওড়ার ব্রিজের চূড়ায় উঠলে বুঝবে...দুটো সম্প্রদায়। (সবটাই শক্তি বাবুর কবিতা থেকে নেওয়া, গায়ে নেবেন না প্লিজ)। এই লেখা কবিতারা আমায় ভাবায়।
যাপিত জীবনে।
তাই আলোচনায় রোজ লিখি। কেউ পড়েন না, আবার পড়েন,
কিন্তু এর ভিতরে কত কষ্ট দুঃখ লুকিয়ে, সমাজ নিয়ে কতটা ভাবি, বাংলা ভাষাকে কতটা বুঝি তা বোঝা কঠিন নয়, আসলে তা অপ্রতুল।