আজ সকালে কবিতা এলো অন্যভাবে। কিছু ছেলের দল, যাত্রার মতো বহুরূপী সেজে গান গাইছে। গোপালকে আনছে গানে। বুকে রাধার ব্যথা। সুর ছন্দ এখনকার হিন্দী সিনেমা। হারমোনিয়ামে সি সার্প। রিডগুলো জমকালো। কবিতায় এতো নাটক আসবে ভাবিনি। গোপালের জন্মদিনে কিছু অর্থ উপার্জন হোক, তবে বাংলা সংস্কৃতিতে এতো ফিউশন। কবিতাও কি তবে এতটা বদলে গেছে। আমি টের পাইনি। কবিতার পথ আমি কি বুঝতে পারছি না। এই নতুন সংস্কৃতি দেখে এটাই বারংবার মাথায় আসছে।
কবিতার ভিতরে লুকিয়ে থাকে জীবন। সেই জীবন অনেক বেড়ে যাচ্ছে। বিস্তৃত হচ্ছে। আমার কলমে এতো ফিউশন আসছে না। না আসছে স্কুলের বাচ্চার জন্য কৃষ্ণ সাজার পোশাক কেনার মধ্যে। কবিতা বদলে যাচ্ছে। সমাজকে দেখে, জন্মাষ্টমির নতুন রূপ দেখে তাই বুঝে নিতে হচ্ছে কৃষ্ণকে নতুন করে বুঝতে শেখা পকেটগুলো। বাঙালিরা অন্য পথ খুঁজে নিচ্ছে। আসলে এখন টেস্ট টিউব বেবি আছে, আলাদা করে গোপাল পুজো করে বাচ্চার প্রয়োজনীয়তা কমেছে। গোপালের লীলাগুলো তাই ম্লান। কবিতাও তাই নতুন কিছু চাইছে। গোপী কিষাণের মতো কবিতাও অ্যানিম্যাটিক্স হতে চাইছে।
কবি হয়ে একঘেয়ে লেখার দিন তাই ক্রমশ হ্রাস পেয়েছে। কবিতা তাই বদলে যাচ্ছে। সেই কবিতায় আমি আছি না নেই। সেটা বিচার করবে পাঠকেরা। ক্রমশ সেই পথেই প্রচেষ্টা। চলতে থাকা শপথের নতুন দিশা। ভাসিয়ে নিয়ে চলা, ভেসে চলা এক সুনির্দিষ্ট ভাবনা। ক্রমশ প্রকাশ্য এক ছান্দসিক কথারা গোপালের ননী চুরির মিষ্টতায় পূর্ণতা পাক। জীবনবোধে। কবিতা এত দ্রুত বদল চায় না। তবু বদল হলেও বাঙালিয়ানাটুকু থাকুক। সব মিথ হতে পারে না। কবিতা কখনই মিথ কাহিনি নয়। ভুল বানান মানব, ভুল বাঙালি মেনে নেওয়াটা কঠিন। সত্যই কষ্টের।