একটা ফোন আসে। সে আশ্বাস চায়। আমিও দিই। পাশে দাঁড়াই। কবিতাও তাই। আমি হয়তো জীবনে কিছুই আলাদা করে পাল্টে দিতে পারব না তবু আশ্বাস। একটা আলো। অনেকটা আলো। প্রচুর আলো। এই তো। অন্ধকার থেকে মুক্তি। মুক্তি তো কবিতা। কবিতার এই সুর মায়াময়। কবিতার এই ভাবনা চেতনার। কবিতার এই স্নিগ্ধতায় বেঁচে থাকা। কবিতা চলতে থাকে। ফোন আসে, ফোন কেটে যায়। কবিতা রয়ে যায় মনে। গোপনে। মিলনে, সহবাসে, ত্রাসে, বিপদে, অধিকারে, জন্ম-মৃত্যুতে। কবিতা রয়ে যায়।
কবিতা থাকে কারণ কবিতা অবিনশ্বর। জীবন নশ্বর। কিন্তু কবিতা অবিনশ্বর। আমার ধারনা নয়, এ ধারনা বিশ্বের। আমি গন্ডগোল করতে পারি, কবিতা করবে না। সে দিশা দেখাবে। সে বাঁচতে শেখাবে। সে চেতনার। সে প্রেরণার। কবিতা যে কবিতাই। কবিতার আলোদের দেখতে শিখতে হবে। সঠিক পাঠক দরকার। তোষামোদ নয়। পাঠক দরকার। যে মননশীলতায় ভাবতে জানে, মানতে জানে। কবিতা স্মরণীয়। মানুষও। মানুষকে চিনলে কবিতাও চিনবে।
সংসার তো সমস্তটুকু নিয়েই। কবিতার সাথে ভালবাসা তো সংসার তৈরি করে দেয়। কেউ তো জন্মে কবি হয় না। এই যেমন বাঙালি হলে রবি ঠাকুর, লিচু চোরের নজরুল শিশু চিনতে পারে। ইংরেজিতে কত রাইম। এই রকম প্রতি ভাষায় কবিতা আছে। তবে বাঙালির উৎসাহ কিঞ্চিত বেশি। তাই তো সামাজিক কবি ও কবিতা অনেক বেশি। ভাষাগত চেতনাও তো প্রয়োজন। কবিতাই তা দিতে পারে। কবিতা মায়াবী। কবিতা প্রাণ শক্তি... কবিতা উপলব্ধি...আশায় আছি একটা ফোন আসবে কবিতার...তারপর আমিও বিলীন হব কবিতায়।