কবিতার নিজস্ব স্বাধীনতা রয়েছে। কবিতা তার কথা বলে। সে যৌনতা টু দেশাত্মবোধক। কবিতাকে আটকে রাখতে পারে না কেউ। কবিতা তার নিজের পথে এগিয়ে চলে। কবিতা জানে কি করতে হয়। কবিতা জানে কি ভাবে করতে হয়। যত সংগ্রাম সংঘটিত হয়েছে কবিতা তার নিজের স্থান অধিকার করেছে।
কবিতার নিজেস্ব কিছু উদযাপন আছে। সে উদযাপনগুলো উদযাপিত স্বাধীনতায় প্রকাশিত হয়। কবিতা যে প্রেম, প্রণয়, শান্তি, বিষাদ, প্রতিবাদ সবই বলতে পারে। মনের কথাদের বলা কঠিন। তবে বলতে জানে কবিতাই। কবিতা তার নিজস্ব পথ-পরিক্রমা করতে পারে। কবিতা তার নিজের মতো বাঁচতে জানে। কবিতা রহস্যময় ভবিতব্য বলতে পারে।
তবে, অনেকে কবিতা খারাপ, কবিতাই নয়, না-কবিতা বলে আটকাতে চায়। হতেই পারে। তবে কবিতা কোনও বাঁধ মানে না। কবিতা তার নিজেস্ব স্রোতে এগিয়ে চলে। জলের মতো। জোয়ার আসবেই। কবিতায় জোয়ার এলে সব তছনছ করে দেবে। প্রকৃতি যতটা স্বাধীন, কবিতাও ততটা স্বাধীন।
যদিও কবিতার ঘরানায় কিছু পার্থক্য থাকায় স্বাধীন কবিতা আবার সকলে বোধগম্য নয়। তাতে ক্ষতি নেই, যে যার নিজের ইচ্ছে মতো খুঁজে নেবে কবিতা। যার যে কবিতা পছন্দ তাই পড়বেন। এটাও তো স্বাধীনতা। পাঠকের স্বাধীনতা। পাঠক না থাকলে কবিতা থাকবে!! কবিতা সুন্দর হোক, কবিতা স্নিগ্ধ হোক। কবিতা সপ্ত রং মাখুক। এটাই স্বাধীনতা। শ্রদ্ধা আসুক, বিষাদ মুহূর্ত থেকে উদযাপনের সর্বত্র কবিতা থাকুক। কবিতা বাঁচুক।