আমায় লিখতে বারণ করে। ভাল লেখার কবিতারা নাকি হারিয়ে যাচ্ছে। তা বলি কবিতা যদি ভালই হবে তবে হারাবে কেন। কিছু অ বাবু ভাল মন্দ ফারাক জানেন না। তাই কবিতার ভিতর নীতির রাজনৈতিকতা খুঁজে চলে। আমি এগুলো বুঝতে চাই না। কবিতা তার নিজের মতো বর্ষিত হবে। যারা ভাল মন্দ বিচারের দায়িত্ব নিজেই নিজের কাঁধে নিয়েছে তারা তো কবিতা বিচারক। অথচ তার যোগ্যতা কতটা!!
কবিতা তার নিজের সমুদ্রে অজস্র ভাবনায় মাতিয়ে দেয়। কবিতা তার জীবন নিয়ে এগিয়ে চলে পরের লক্ষ্যে। আর কবিতা কি আটকে রেখে কেউ ভাল প্রমাণ করতে পারে। নজরুলের বিদ্রোহী কবিতাটি কত কষ্টের, কত সমৃদ্ধ করেছিল আমাদের, তবু তা আমাদের কাব্যপাঠ আটকে দিতে পারেনি। মজা এটাই। যা কিছু ভাল তা হাজার বছর পর থেকে যাবে। হাজার হাজার মানুষ আসবে সে সব দেখতে। আর যা কিছু খারাপ, তা বিজ্ঞাপনেও ঢেকে যাবে।
কবিতা কি, কবিতা কেন, কবিতার ভয়, কবিতার চেতনা এগুলো বলি কারণ যারা কবিতা লিখতে ভুলেছে, যারা কবিতা জানে না, যারা শুধু না কবিতাকে কবিতা মনে করে তারাও যাতে বুঝতে পারেন। আমার লেখা সবাই বুঝবে সেই দায় আমার নেই। আমার দায় রয়েছে কবিতার প্রতি। কবিতার প্রাণ দেবতার কাছে সপে দিয়েছি নিজেকে। মুক্তি পাব। মুক্তো হব। এগিয়ে যাব। কবিতায় থাকব। বিরোধীতা না করে কবিতাতে থাকতে শিখুন। মানুষ হতে শিখুন। অমানবিক না। যদি অমানবিক হয়ে ভাবেন দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন তাহলে ভুল করছেন। আমায় না বুঝলে আপনাকেও জড় ভাবতে রাজি। কারণ আমার কাছে কবিতা জীবন্ত। কবিতা প্রাণবন্ত। তাই কবিতা বুঝতে শিখুন। কবিতা লিখতে শিখুন। কিছু শব্দমালা মানেই কবিতা নয়। কি বলেন মুগ্ধ পাঠক!!