এখন কবিতা বিক্রি হয়। টাকা থাকলেই বিক্রি হয় কবিতা। কারণ টাকা থাকলে প্রকাশক ছাপিয়ে আসবে। তারপর নতুন করে ব্যবসার পথ ধরে এগিয়ে চলবে জীবন। জীবন বড় সরল। জীবন বড়ই চেতনাময়। কবিতা তাই কবিতার মতো এগিয়ে যাবে শৈশব উজাড় করে। কবিতা তাই খুঁজে পাবে জীবন্ত আলো।
কিন্তু এই কবিতা যে কালজয়ী হবে, মানুষের মননে থাকবে, গবেষণার বিষয় হবে তা কিন্তু সঠিক সত্যতায় বলা যাবে না। কারণ কবিতার নিজেস্ব দর্শন আজ মিসিং। আজ কেবল ছন্দ, অন্ত্যমিল...হচ্ছে বটে কিন্তু কবিতার অন্তর আত্মা স্পর্শ হচ্ছে কি!! এই বিস্ময় আছে। তাই মেলা হয় বইমেলা। অনেক। কিন্তু কবিতার বিক্রি কী তেমন হয়। জনা কিছু লোক সমাদৃত। বাকিরা পুশ সেল। কবিতা তো তা নয়। কবিতা তো সকলে পড়বেন। বুঝবেন। তবেই তো কবিতার চেতনা ছড়িয়ে যাবে বিশ্বময়। কবিতা এখন একতরফা। কবিতা এখন বিলাস। কবিতা এখন সৌজন্য। কবিতা এখন শুধু স্টেটাস। আমিও পারি, এই ভাবনাটা যেদিন বুঝবে মানুষের দল...সেদিন আর লিখবে না। সকলে সব কিছু পারে না, সকলের সব কিছু পারতে নেই। সকলে সব কিছু করলে বাস্ততন্ত্রটাই নিয়মের বিপরীতে যাবে। যেদিন এগুলো বুঝবে মানুষ সেদিন এই ক্রেতা বিক্রেতার কবিতা বিপনন বন্ধ হবে। শুধু থাকবে সুখও পাঠ্য কবিতা। অনন্তকাল। অনন্তলোকে। সহজ সরল ভাবে তাই কবিতা আসুক, অনেক ঘুরিয়ে বিচ্যুতি দিয়ে না লিখে সরল ভাবে কবিতা লিখুন। অনেক পাঠক দূরে চলে গ্যাছে। সেটা বুঝুন। না হলে কবিতার ফেরিওয়ালা হতে পারেন, কিন্তু কেউ তা কিনবে না। শুধু কবিতার কঙ্কাল হয়ে নষ্ট পাতায় পুরোনো বইয়ের দোকানে সঙ্গী হবে গন্ধ, উই আর একরাশ হতাশা।